ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ সম্মেলন

ব্যালট পুনরায় গণনার দাবি শংকরচন্দ্র ইউপির এক সদস্য প্রার্থীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে


ব্যালট পুনরায় গণনা করার দাবি জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন শংকরচন্দ্র ইউপি নির্বাচনের এক সদস্য প্রার্থী। আজ রোববার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রার্থী ভোট গণনা ভুল হওয়ার দাবি করেন। অভিযোগকারী প্রার্থী হলেন শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের সোহানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে সোহানুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ওয়ার্ডবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে সেবা প্রদান ও তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পাব এটাই স্বাভাবিক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডের ১ হাজার ৫৪৩ ভোটের মধ্য থেকে মোট পোল হয় ১ হাজার ২৮২ ভোট। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ওয়ার্ডের ছয়জন মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পাব।
তিনি আরও বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে পোলিং এজেন্টদেরকে দুরে বসিয়ে রেখে প্রিজাইডিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ভোট গণনা করে মৌখিক ফলাফল ঘোষণা করেন। আমার ফুটবল প্রতীকের এজেন্ট বাইরে এসে আমাকে বিষয়টি জানান। আমি সবিনয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট ভোট পুনঃগণনার দাবি জানালে আমার ও সমর্থকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন তিনি। পরে পুলিশ দিয়ে আমাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। প্রিজাইডিং অফিসার এসময় দ্রুত ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন। আমি সাথে সাথে আমার সমর্থকদের নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি।
সংবাদ সম্মেলনে সোহানুর রহমান আরও বলেন, আমি ধারণা করছি, আমার প্রাপ্ত ভোট অন্য কোনো মেম্বার প্রার্থীর ভোটের বান্ডিলের মধ্যে ভুলক্রমে ঢুকে যেতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।
পরে, গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সোহানুর রহমান জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে গ্রামবাসীদের সাথে তিনি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এসময় সোহানুর রহমানের বাবা ইংরেজ আলীসহ কর্মী—সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে জাফর উল্লাহ শারাফাত বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট। এছাড়া এই ওয়ার্ডে নূর মোহাম্মদ টিউবওয়েল প্রতীকে ১১৭ ভোট, আব্দুল্লাহ ভ্যান গাড়ি প্রতীকে ১৩৪, ছামাদ আলী তালা প্রতীকে ২২৯ ভোট পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট পুনরায় গণনার দাবিকারী প্রার্থী সোহানুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১৩৯টি।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সংবাদ সম্মেলন

ব্যালট পুনরায় গণনার দাবি শংকরচন্দ্র ইউপির এক সদস্য প্রার্থীর

আপলোড টাইম : ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪


ব্যালট পুনরায় গণনা করার দাবি জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন শংকরচন্দ্র ইউপি নির্বাচনের এক সদস্য প্রার্থী। আজ রোববার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রার্থী ভোট গণনা ভুল হওয়ার দাবি করেন। অভিযোগকারী প্রার্থী হলেন শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের সোহানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে সোহানুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। ওয়ার্ডবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে সেবা প্রদান ও তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পাব এটাই স্বাভাবিক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডের ১ হাজার ৫৪৩ ভোটের মধ্য থেকে মোট পোল হয় ১ হাজার ২৮২ ভোট। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ওয়ার্ডের ছয়জন মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পাব।
তিনি আরও বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে পোলিং এজেন্টদেরকে দুরে বসিয়ে রেখে প্রিজাইডিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ভোট গণনা করে মৌখিক ফলাফল ঘোষণা করেন। আমার ফুটবল প্রতীকের এজেন্ট বাইরে এসে আমাকে বিষয়টি জানান। আমি সবিনয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট ভোট পুনঃগণনার দাবি জানালে আমার ও সমর্থকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন তিনি। পরে পুলিশ দিয়ে আমাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। প্রিজাইডিং অফিসার এসময় দ্রুত ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন। আমি সাথে সাথে আমার সমর্থকদের নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি।
সংবাদ সম্মেলনে সোহানুর রহমান আরও বলেন, আমি ধারণা করছি, আমার প্রাপ্ত ভোট অন্য কোনো মেম্বার প্রার্থীর ভোটের বান্ডিলের মধ্যে ভুলক্রমে ঢুকে যেতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।
পরে, গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সোহানুর রহমান জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে গ্রামবাসীদের সাথে তিনি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এসময় সোহানুর রহমানের বাবা ইংরেজ আলীসহ কর্মী—সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে জাফর উল্লাহ শারাফাত বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহফুজুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট। এছাড়া এই ওয়ার্ডে নূর মোহাম্মদ টিউবওয়েল প্রতীকে ১১৭ ভোট, আব্দুল্লাহ ভ্যান গাড়ি প্রতীকে ১৩৪, ছামাদ আলী তালা প্রতীকে ২২৯ ভোট পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট পুনরায় গণনার দাবিকারী প্রার্থী সোহানুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১৩৯টি।