ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুুতে হত্যা মামলায় দুজনকে ফাঁসির আদেশ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডুু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানকে হত্যার দায়ে দুজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ মো. নাজিমুদৌলা এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের লিটন বিশ^াস ও মো. মনিরুল বিশ^াস রেন্টু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ মে আন্দুলিয়া গ্রামের এস এম মজিবর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মশিয়ার রহমান বাড়ির বৈঠকখানাতে বসেছিলেন। এসময় আসামিরা তাকে টেনে-হেচড়ে বাড়ির টিউবওয়েল পাশে নিয়ে দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডুু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরের দিন তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় লিটন বিশ^াস ও মনিরুল বিশ^াস রিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

নিহতের ছোট ভাই আবির হাসান ডলার অভিযোগ করেন, জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বহু আগে থেকেই তাদের মতবিরোধ চলে আসছিল। মারা যাওয়ার আগেও মসিউর রহমানকে আরও দুইবার কুপিয়ে আহত করেন আসামিরা। কিন্তু পরের বার তার ভাই বঁচতে পারেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুুতে হত্যা মামলায় দুজনকে ফাঁসির আদেশ

আপলোড টাইম : ০৩:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডুু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানকে হত্যার দায়ে দুজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ মো. নাজিমুদৌলা এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের লিটন বিশ^াস ও মো. মনিরুল বিশ^াস রেন্টু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ মে আন্দুলিয়া গ্রামের এস এম মজিবর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মশিয়ার রহমান বাড়ির বৈঠকখানাতে বসেছিলেন। এসময় আসামিরা তাকে টেনে-হেচড়ে বাড়ির টিউবওয়েল পাশে নিয়ে দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুণ্ডুু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরের দিন তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় লিটন বিশ^াস ও মনিরুল বিশ^াস রিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

নিহতের ছোট ভাই আবির হাসান ডলার অভিযোগ করেন, জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বহু আগে থেকেই তাদের মতবিরোধ চলে আসছিল। মারা যাওয়ার আগেও মসিউর রহমানকে আরও দুইবার কুপিয়ে আহত করেন আসামিরা। কিন্তু পরের বার তার ভাই বঁচতে পারেনি।