মুন্সিগঞ্জে বেড়েছে চুরি, অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ ; থানায় অভিযোগ হলেও চোরেরা অধরা
- আপলোড টাইম : ০৮:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
- / ৯৭ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা উপজেলা জেহালা ইউনিয়নে চোরের উৎপাত বেড়েছে। প্রতিদিনই এলাকায় ঘটছে চুরির ঘটনা। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। সর্বশেষ গত শনিবার দিবাগত রাত জেহালা ওয়াবদাপাড়ার মজিদের বাড়ি থেকে একটি পাখি ও সামাদের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
মজিদ বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর চল্লিশেতে বাড়িতে মিলাদ দেওয়া হয়। এদিন বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে। এসময় আমার বোন জামাইয়ের একটি পাখি ভ্যান বাড়িতে রাখাছিল। রাতে তালা ভেঙে পাখি ভ্যান চুরি করে নিয়ে গেছে চোর। সামাদ বলেন, রাতে ইয়ারুল চোর আমার ঘরের ভিতরে ঢুকে আমার একটি ভিভো টাচ মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। চোর পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজার, রোয়াকুলী, জেহালা, পুটিমারি সম্প্রতি ছাগল, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, দোকান থেকে টিভি, নগদ টাকা, বাইসাইকেল, মাঠের ফসল, স্যালোমেশিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। এরমেধ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি জেহালা অঘোরনাথ মোড়ে তালবিয়া ফার্মেসির সাটারের টালা ভেঙে দুটি মোবাইল ফোন ও ১ হাজার টাকা, জেহালা বাজারে তার তিনদিন আগে ডেভিড মোড়ে একটি চায়ের দোকান থেকে টিভি চুরি হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পারদুর্গাপুর গ্রামের ছাদেক আলী ছেলে রাহেনের বাড়ি থেকে একটি ফোন চুরি হয়েছে।
এদিকে রোয়াকুলী কলেজপাড়ার ইয়ামিনের বাড়ি থেকে ২১-০৯-২৩ তারিখে এক গাভি ও একটি এড়ে বাছুর চুরি হয়। একই গ্রামের রাজ্জাকের বাড়ি থেকে দিনের বেলায় এপাসি আরটিআর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। ছোট পুটিমারি গ্রামের শৈলেন রাজ বংশের বাড়ি থেকে একটি পাখি ভ্যান একই গ্রামের স্বপনের বাড়ি থেকে একটি টাস মোবাইল ফোন হয়েছে। পনেরো দিন আগে রোয়াকুলী বদরগঞ্জ গ্রামের দেলবারের বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেল, অঘোরনাথ পাড়ার ঝন্টুর বাড়ি থেকে বাইসাইকেল চুরি হয়েছে।
এলাকাবাসীরা বলেন, প্রতিদিন কোনো না কোনো বাড়ি, দোকান এবং মাঠের ফসল, স্যালোমেশিন চুরি হচ্ছে। এলাকায় যেমন বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ী, তেমনই বেড়েছে মাদকসেবী। এদের কারণে চোরের উৎপাত বেড়েছে। এসব ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত চোর ধরা পড়েনি। এতে চুরির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন আগে বেশকিছু চোরকে আটক করা হয়েছে। যারা নেশা করে। নেশার সাথে আসক্ত যারা বেশির ভাগই তারাই চুরির সাথে সম্পৃক্ত।