ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জীবননগরে সজলের বাগানে অসময়ে পাকা কাঁঠাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • / ৭৭ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর:
জীবননগরে সজল আহমেদ বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন ভিয়েতনামের বারোমাসি কাঁঠাল বাগান। বর্তমানে কাঁচা-পাকা ফলে ভরা তার বাগানের কাঁঠাল গাছগুলোতে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় নতুন জাতের এই কাঁঠালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। তাই তিনি এই চাষে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মো. আব্দুল আলীমের ছেলে কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহমেদ বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামের বারোমাসি জাতের কাঁঠাল বাগান করেন ২০১৮ সালে। ভারতের বিপুল মজুমদার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এ জাতের চারা সংগ্রহ করেন। চারাগুলো বাগানে লাগানোর ছয় মাস থেকে অল্প পরিমাণে ফল আসা শুরু করে। আর ৪ বছর বয়স হলেই প্রতিটি গাছে পরিপূর্ণ মাত্রায় ফল ধরে। বর্তমানে বাগানের প্রত্যেকটি গাছে কাঁচা-পাকা প্রচুর কাঁঠাল রয়েছে।
কৃষি উদ্যোক্তা মো. সজল আহম্মেদ জানান, বছরের প্রথম থেকে গাছে ফল আসলেও ফল বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয় মার্চ মাস থেকে। এই জাতের কাঁঠালের গায়ের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ। আর পাকলে ভিতরের রঙ গাঢ় হলুদ। কাঁঠাল মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। অন্যান্য কাঁঠালের তুলনায় এ জাতের কাঁঠালে আঠা কম হয়। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক কম। নিয়মিত পরিচর্যা, আর জৈব সার ব্যবহার করলেই হয়।
সজল বলেন, এ ধরনের বাগান আশপাশে নেই। এ জাতের কাঁঠালে তেমন কোনো খরচ নেই। তিনি ৭ বিঘা জমি থেকে চাষ শুরু করলেও বর্তমান ১২০ বিঘা জমিতে তার ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এত জমিতে চাষ করা সত্ত্বেও সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। অথচ যারা নাম মাত্র চাষ করেন, তারা সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছ প্রায় ৫০-৬০টি কাঁঠাল ধরেছে। গড় ওজন প্রায় ৫-৬ কেজি। প্রতি পিচ কাঁঠাল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা দরে। অসময়ে পাকায় এই কাঁঠালের দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
পাশর্^বর্তী মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের ফয়সাল আহম্মেদ কাঁঠাল বাগান দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই সময় পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায় এটা আমি প্রথম দেখলাম। কাঁঠাল খেতেও অনেক স্বাদ এবং গন্ধ অনেক সুন্দর। তবে দেশী কাঁঠালের যে পরিমাণ আঠা থাকে এতে অত আঠা নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে সজলের বাগানে অসময়ে পাকা কাঁঠাল

আপলোড টাইম : ০৪:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর:
জীবননগরে সজল আহমেদ বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন ভিয়েতনামের বারোমাসি কাঁঠাল বাগান। বর্তমানে কাঁচা-পাকা ফলে ভরা তার বাগানের কাঁঠাল গাছগুলোতে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় নতুন জাতের এই কাঁঠালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। তাই তিনি এই চাষে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মো. আব্দুল আলীমের ছেলে কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহমেদ বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামের বারোমাসি জাতের কাঁঠাল বাগান করেন ২০১৮ সালে। ভারতের বিপুল মজুমদার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এ জাতের চারা সংগ্রহ করেন। চারাগুলো বাগানে লাগানোর ছয় মাস থেকে অল্প পরিমাণে ফল আসা শুরু করে। আর ৪ বছর বয়স হলেই প্রতিটি গাছে পরিপূর্ণ মাত্রায় ফল ধরে। বর্তমানে বাগানের প্রত্যেকটি গাছে কাঁচা-পাকা প্রচুর কাঁঠাল রয়েছে।
কৃষি উদ্যোক্তা মো. সজল আহম্মেদ জানান, বছরের প্রথম থেকে গাছে ফল আসলেও ফল বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয় মার্চ মাস থেকে। এই জাতের কাঁঠালের গায়ের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ। আর পাকলে ভিতরের রঙ গাঢ় হলুদ। কাঁঠাল মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। অন্যান্য কাঁঠালের তুলনায় এ জাতের কাঁঠালে আঠা কম হয়। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক কম। নিয়মিত পরিচর্যা, আর জৈব সার ব্যবহার করলেই হয়।
সজল বলেন, এ ধরনের বাগান আশপাশে নেই। এ জাতের কাঁঠালে তেমন কোনো খরচ নেই। তিনি ৭ বিঘা জমি থেকে চাষ শুরু করলেও বর্তমান ১২০ বিঘা জমিতে তার ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এত জমিতে চাষ করা সত্ত্বেও সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। অথচ যারা নাম মাত্র চাষ করেন, তারা সরকারি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি গাছ প্রায় ৫০-৬০টি কাঁঠাল ধরেছে। গড় ওজন প্রায় ৫-৬ কেজি। প্রতি পিচ কাঁঠাল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা দরে। অসময়ে পাকায় এই কাঁঠালের দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
পাশর্^বর্তী মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের ফয়সাল আহম্মেদ কাঁঠাল বাগান দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই সময় পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায় এটা আমি প্রথম দেখলাম। কাঁঠাল খেতেও অনেক স্বাদ এবং গন্ধ অনেক সুন্দর। তবে দেশী কাঁঠালের যে পরিমাণ আঠা থাকে এতে অত আঠা নেই।