ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার গঠনে এগিয়ে পিএমএল (এন) ও পিপিপি, বিরোধী দলে থাকাকে শ্রেয় মনে করছে পিটিআই

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিন বছর নওয়াজ, দুই বছর বিলাওয়াল!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জনতার রায়ে পিছিয়ে থাকলেও সরকার গঠনে এগিয়ে গেলেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা নওয়াজ শরিফ যে এবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কারণ তার মাথায় সামরিক বাহিনীর হাত আছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাকে প্রধানমন্ত্রী পদও ভাগাভাগি করতে হচ্ছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। জিও টিভি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিন বছর প্রধানমন্ত্রী হবে নওয়াজ শরিফ এবং বাকি দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন বিলাওয়াল ভুট্টো। যদিও দুই দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। দুই দল সরকার গঠনের দিকে গেলেও এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠন করতে পারছে না। স্বতন্ত্ররা একটি দলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) কিংবা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কারো সঙ্গেই জোট করবেন না। এর চেয়ে তারা পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকাকেই শ্রেয় মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে ভাগাভাগি:
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার পর এবার ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা ভেবে দেখছে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। সংবিধান অনুসারে, নির্বাচনি দিনের পর থেকে তিন সপ্তাহ বা ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার গঠন করতে হবে। স্বতন্ত্রদের পর নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনে পরস্পরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছে দুই দলই। সেক্ষেত্রে এই সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে গত রোববার বৈঠক করেছে দুই দল। গতকালও দল দুটির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এ ফর্মুলার আওতায় কেন্দ্র ও প্রদেশে জোট সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের তিন বছরের জন্য পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন এবং বাকি অর্ধেক সময়ের জন্য পিপিপি তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে-এমন সম্ভাবনা নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। রোববার লাহোরের বিলাওয়াল হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপক্ষই জোট সরকার গঠনের ওপর জোর দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ক্ষমতায় চলে আসতে পারে বলে তাদের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করছে। ইমরান খানের দলকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই দুই দল সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইমরান খানের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে কোনো একটি দলে যোগ দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

পিএমএল-এন নেতারা জানিয়েছেন যে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এমকিউএম-পাকিস্তান দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এদিকে নওয়াজ শরিফ জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সূত্র বলেছে, তারাও খুব সম্ভবত সরকারে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ও পিএমএল-এনের সঙ্গে মিলে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের জোট গঠন করেছিল জেইউআই-এফ। ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তারা সরকার গঠন করে। এবারও যদি তাই হয়, তাহলে এটা হবে পিডিএমের দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) মিলে প্রথম ক্ষমতা ভাগাভাগি ফর্মুলার মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল। তখন দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া ইসরাইলেও এর আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করে সরকার গঠিত হয়েছিল।

পিটিআই বিক্ষোভে লাঠিচার্জ:
নির্বাচনের ফল প্রকাশের দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরসহ একাধিক জায়গায় পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। করাচিতেও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেআইনি জমায়েত করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। তবে সংঘর্ষে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দলীয় প্রার্থীরা। ৯৩টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পার করতে পারেনি। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। অন্যরা ৩৮টি আসন পেয়েছে। তবে এখনই আশা ছাড়তে রাজি নয় ইমরান খানের দল পিটিআই। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী যেহেতু নির্দলীয়রা সরকার গঠন করতে পারে না, তাই আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্দলীয়রা পিটিআইতে যোগ দিতে বলা হবে। অন্যদের সমর্থনে যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতার সংখ্যা পার করতে পারে, তবে সরকার গড়বে পিটিআই। সেক্ষেত্রে জেল থেকেই প্রধানমন্ত্রী বাছাই করবেন ইমরান খান। পরবর্তীতে ইমরানকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে পিটিআই।-জিও নিউজ, ডন ও বিবিসি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সরকার গঠনে এগিয়ে পিএমএল (এন) ও পিপিপি, বিরোধী দলে থাকাকে শ্রেয় মনে করছে পিটিআই

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিন বছর নওয়াজ, দুই বছর বিলাওয়াল!

আপলোড টাইম : ০১:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জনতার রায়ে পিছিয়ে থাকলেও সরকার গঠনে এগিয়ে গেলেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা নওয়াজ শরিফ যে এবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কারণ তার মাথায় সামরিক বাহিনীর হাত আছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাকে প্রধানমন্ত্রী পদও ভাগাভাগি করতে হচ্ছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। জিও টিভি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিন বছর প্রধানমন্ত্রী হবে নওয়াজ শরিফ এবং বাকি দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন বিলাওয়াল ভুট্টো। যদিও দুই দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। দুই দল সরকার গঠনের দিকে গেলেও এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠন করতে পারছে না। স্বতন্ত্ররা একটি দলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) কিংবা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কারো সঙ্গেই জোট করবেন না। এর চেয়ে তারা পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকাকেই শ্রেয় মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে ভাগাভাগি:
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার পর এবার ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা ভেবে দেখছে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। সংবিধান অনুসারে, নির্বাচনি দিনের পর থেকে তিন সপ্তাহ বা ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার গঠন করতে হবে। স্বতন্ত্রদের পর নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনে পরস্পরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছে দুই দলই। সেক্ষেত্রে এই সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে গত রোববার বৈঠক করেছে দুই দল। গতকালও দল দুটির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এ ফর্মুলার আওতায় কেন্দ্র ও প্রদেশে জোট সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের তিন বছরের জন্য পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন এবং বাকি অর্ধেক সময়ের জন্য পিপিপি তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে-এমন সম্ভাবনা নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। রোববার লাহোরের বিলাওয়াল হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপক্ষই জোট সরকার গঠনের ওপর জোর দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ক্ষমতায় চলে আসতে পারে বলে তাদের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করছে। ইমরান খানের দলকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই দুই দল সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইমরান খানের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে কোনো একটি দলে যোগ দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

পিএমএল-এন নেতারা জানিয়েছেন যে, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এমকিউএম-পাকিস্তান দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এদিকে নওয়াজ শরিফ জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সূত্র বলেছে, তারাও খুব সম্ভবত সরকারে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ও পিএমএল-এনের সঙ্গে মিলে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের জোট গঠন করেছিল জেইউআই-এফ। ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তারা সরকার গঠন করে। এবারও যদি তাই হয়, তাহলে এটা হবে পিডিএমের দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) মিলে প্রথম ক্ষমতা ভাগাভাগি ফর্মুলার মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল। তখন দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া ইসরাইলেও এর আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করে সরকার গঠিত হয়েছিল।

পিটিআই বিক্ষোভে লাঠিচার্জ:
নির্বাচনের ফল প্রকাশের দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরসহ একাধিক জায়গায় পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। করাচিতেও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেআইনি জমায়েত করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। তবে সংঘর্ষে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দলীয় প্রার্থীরা। ৯৩টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পার করতে পারেনি। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। অন্যরা ৩৮টি আসন পেয়েছে। তবে এখনই আশা ছাড়তে রাজি নয় ইমরান খানের দল পিটিআই। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী যেহেতু নির্দলীয়রা সরকার গঠন করতে পারে না, তাই আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্দলীয়রা পিটিআইতে যোগ দিতে বলা হবে। অন্যদের সমর্থনে যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতার সংখ্যা পার করতে পারে, তবে সরকার গড়বে পিটিআই। সেক্ষেত্রে জেল থেকেই প্রধানমন্ত্রী বাছাই করবেন ইমরান খান। পরবর্তীতে ইমরানকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে পিটিআই।-জিও নিউজ, ডন ও বিবিসি।