ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব

দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমিটির সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে জখমসহ দুই পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন- পাঁকা গ্রামের সানোয়ার হোসেন মালিতার ছেলে ও মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (৩৭), তাঁর সমর্থক একই গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ও মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক বিপুল হোসেন (৩৫), মগরেব আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (৩০) ও মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে বাবলু (৫০)।

দ্বিতীয় পক্ষের আহতরা হলেন, সভাপতি প্রার্থী একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল মন্ডলের ছেলে মিলন হোসেন (৪৫), তাঁর সমর্থক মৃত ওয়াছের মন্ডলের ছেলে রুস্তম আলী (৫২), দাউদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৫৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে জিহাদ হোসেন (১৮), মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম (৪৫), রুস্তম আলীর ছেলে তানিম আক্তার (১৮) ও বিশারত মন্ডলের ছেলে কামরুজ্জামান (৩২)।

আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে পাঁকা গ্রামের বাজারে দুই সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে জেনেছি। দুপক্ষের অনেকে আহত হয়েছে। এসময় মায়ের দোয়া নামক একটি খাবার হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন জানান, ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দিয়ে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, পাঁকায় একটি মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মারামারির হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব

দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১১

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমিটির সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে জখমসহ দুই পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন- পাঁকা গ্রামের সানোয়ার হোসেন মালিতার ছেলে ও মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (৩৭), তাঁর সমর্থক একই গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ও মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক বিপুল হোসেন (৩৫), মগরেব আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (৩০) ও মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে বাবলু (৫০)।

দ্বিতীয় পক্ষের আহতরা হলেন, সভাপতি প্রার্থী একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল মন্ডলের ছেলে মিলন হোসেন (৪৫), তাঁর সমর্থক মৃত ওয়াছের মন্ডলের ছেলে রুস্তম আলী (৫২), দাউদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৫৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে জিহাদ হোসেন (১৮), মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম (৪৫), রুস্তম আলীর ছেলে তানিম আক্তার (১৮) ও বিশারত মন্ডলের ছেলে কামরুজ্জামান (৩২)।

আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে পাঁকা গ্রামের বাজারে দুই সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে জেনেছি। দুপক্ষের অনেকে আহত হয়েছে। এসময় মায়ের দোয়া নামক একটি খাবার হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন জানান, ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দিয়ে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, পাঁকায় একটি মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মারামারির হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।