ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে অবৈধ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ-যুবসমাজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগরে অনলাইন জুয়ায় তরুণ ও যুবসমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শত শত যুবক এ অবৈধ খেলায় যুক্ত হচ্ছে। পরিবার ও সমাজে নানা অপরাধমূলক ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এতে অভিভাবকেরা আছেন মহাবিপাকে। জুয়ার টাকা জোগাতে অনেকে পরিবারের পকেট কাটছে, আবার অনেকে চুরির মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। অনেক সময় জুয়ার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ ও যুবকেরা।

সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপসের মাধ্যমে এই জুয়া খেলতে হয়। অ্যাপস ইনস্টল করার পর লাগে টাকা। এই টাকা রিচার্জ করতে বিভিন্ন এজেন্টের কাছে যেতে হয়। এতে লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগী এজেন্টরা। ধ্বংস হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের কাঁচাবাজার, নারায়ণপুর মোড়, মকছেদ মার্কেট, নারায়ণপুর গ্রামের বিভিন্ন আমবাগানে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ জুয়া খেলা হয়ে থাকে। আর ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় পৌর শহরের শহরের নারায়ণপুর মোড়ে ইয়ামিন টেলিকমে দেখা যায় উঠতি বয়সের তরুণরা অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য দোকানে ভিড় করছিল।

জীবননগর পৌর শহরের নারায়ণপুর মোড়ের এক যুবক বলেন, অনলাইনের এই জুয়া খেলা এক প্রকার নেশা। এক থেকে দুইবার খেলায় জিতে গেলে সামান্য কিছু লাভ হয়। এই লাভের আশায় বেশি টাকা রিচার্জ করে হেরে যায়। পরবর্তীতে রিচার্জের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। অনলাইনে জুয়া খেলার ব্যাপারে কথা হয় এক যুবকের সাথে। নাম প্রকাশে না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমার বর্তমানে কোনো কাজ-কাম নেই। আমি গেম খেলে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করি। কিন্তু এই খেলায় জেতার চেয়ে হারতে হয় বেশি। তারপরও যখন হারি তখন পরবর্তীতে পাওয়ার আশায় আবারও খেলি।’

চুয়াডাঙ্গান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘অনলাইনে জুয়া খেলা এটি একটি সামাজিক সমস্যা। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জুয়া বন্ধে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে অবৈধ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ-যুবসমাজ

আপলোড টাইম : ০৫:৩২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগরে অনলাইন জুয়ায় তরুণ ও যুবসমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শত শত যুবক এ অবৈধ খেলায় যুক্ত হচ্ছে। পরিবার ও সমাজে নানা অপরাধমূলক ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এতে অভিভাবকেরা আছেন মহাবিপাকে। জুয়ার টাকা জোগাতে অনেকে পরিবারের পকেট কাটছে, আবার অনেকে চুরির মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। অনেক সময় জুয়ার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ ও যুবকেরা।

সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপসের মাধ্যমে এই জুয়া খেলতে হয়। অ্যাপস ইনস্টল করার পর লাগে টাকা। এই টাকা রিচার্জ করতে বিভিন্ন এজেন্টের কাছে যেতে হয়। এতে লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগী এজেন্টরা। ধ্বংস হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের কাঁচাবাজার, নারায়ণপুর মোড়, মকছেদ মার্কেট, নারায়ণপুর গ্রামের বিভিন্ন আমবাগানে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ জুয়া খেলা হয়ে থাকে। আর ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় পৌর শহরের শহরের নারায়ণপুর মোড়ে ইয়ামিন টেলিকমে দেখা যায় উঠতি বয়সের তরুণরা অনলাইনে জুয়া খেলার জন্য দোকানে ভিড় করছিল।

জীবননগর পৌর শহরের নারায়ণপুর মোড়ের এক যুবক বলেন, অনলাইনের এই জুয়া খেলা এক প্রকার নেশা। এক থেকে দুইবার খেলায় জিতে গেলে সামান্য কিছু লাভ হয়। এই লাভের আশায় বেশি টাকা রিচার্জ করে হেরে যায়। পরবর্তীতে রিচার্জের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। অনলাইনে জুয়া খেলার ব্যাপারে কথা হয় এক যুবকের সাথে। নাম প্রকাশে না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘আমার বর্তমানে কোনো কাজ-কাম নেই। আমি গেম খেলে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করি। কিন্তু এই খেলায় জেতার চেয়ে হারতে হয় বেশি। তারপরও যখন হারি তখন পরবর্তীতে পাওয়ার আশায় আবারও খেলি।’

চুয়াডাঙ্গান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘অনলাইনে জুয়া খেলা এটি একটি সামাজিক সমস্যা। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জুয়া বন্ধে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।’