ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে আদালতের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

নবগঙ্গা নদী ওপর দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
আদালতের নির্দেশে নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণ করেছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সোনাতনপুর নবগঙ্গা নদীর বাধ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আক্তার উজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়। অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই চঞ্চল, এএসআই রেজাওয়ন। দুটি ভেকু দিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।


হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আক্তার উজ্জামান বলেন, ‘গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালত নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৬০ দিনের মধ্যে দখলকারীদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ অভিযান পরিচালনা করে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।’

জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর জনস্বার্থে আনা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। এর আগে জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীর আড়াই কিলোমিটারে সাত জায়গায় আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর ওই অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে চাঁদপুর বাঁওড় নামকরণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। নবগঙ্গা নদীটি জেলার হরিণাকুণ্ডু হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর ও সদর উপজেলার জাড়গ্রাম অংশে ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতি ধারণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ইউ আকৃতির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। এর মাঝ বরাবর পড়েছে জাড়গ্রাম। জাড়গ্রামের তিন পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছিল নদীটি। এখানে নদীর সাত জায়গায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জানান, সব বাঁধ অপসারণ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, ভবিষ্যতে যাতে দখল করতে না পারে এবং সিএস/আরএস অনুসারে নদীর হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর, জাড়গ্রাম অংশে জরিপ কর ও দখলকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে আদালতের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

নবগঙ্গা নদী ওপর দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রতিবেদক, হরিণাকুণ্ডু:
আদালতের নির্দেশে নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণ করেছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সোনাতনপুর নবগঙ্গা নদীর বাধ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আক্তার উজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়। অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই চঞ্চল, এএসআই রেজাওয়ন। দুটি ভেকু দিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।


হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আক্তার উজ্জামান বলেন, ‘গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালত নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৬০ দিনের মধ্যে দখলকারীদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ অভিযান পরিচালনা করে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।’

জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর জনস্বার্থে আনা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ নবগঙ্গা নদী ওপর আড়াআড়িভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। এর আগে জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীর আড়াই কিলোমিটারে সাত জায়গায় আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর ওই অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে চাঁদপুর বাঁওড় নামকরণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। নবগঙ্গা নদীটি জেলার হরিণাকুণ্ডু হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর ও সদর উপজেলার জাড়গ্রাম অংশে ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতি ধারণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ইউ আকৃতির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। এর মাঝ বরাবর পড়েছে জাড়গ্রাম। জাড়গ্রামের তিন পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছিল নদীটি। এখানে নদীর সাত জায়গায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জানান, সব বাঁধ অপসারণ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, ভবিষ্যতে যাতে দখল করতে না পারে এবং সিএস/আরএস অনুসারে নদীর হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর, জাড়গ্রাম অংশে জরিপ কর ও দখলকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।