ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত

সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য্যে সেজেছে আমঝুপি বিএডিসি খামার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

মাহাবুল ইসলাম:
মেহেরপুরের আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের সবুজের মাঠ সেজেছে সূর্যমুখীর অপরুপ সৌন্দর্য্য।ে বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য্য উপভোগ করার। আর সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা দিনভর ভিড় করছেন এই সূর্যমুখী বাগানে। দুপুরের পর থেকেই সৌন্দর্যপ্রেমীদের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানটি। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, আবার কেউ বা আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। সুন্দর স্মৃতিকে ধরে রাখতে হাসিমাখা ভঙ্গিতে মুঠোফোন কিংবা ক্যামেরায় ছবি তুলে তা আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি (বিএডিসি) ডাল ও সবজি বীজ খামারটি এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খামারে চাষকৃত সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় করছেন হাজারো ফুল প্রেমীরা। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই সূর্যমূখী ফুলের উঁকি মারার দৃশ্য দেখতে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমী ও তরুণ-তরুণীরা। সূর্যমূখী ফুলের বাগানে সেলফি বা ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের ছবি দেখে গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। পার্শ্ববর্তী জেলার দর্শনার্থীরাও মাইক্রোবাস-কার ও মোটরসাইকেলযোগে ছুটে আসছেন।

খামার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরজুড়ে নানা ধরণের ডাল ও সবজির বীজ উৎপাদন হয়ে আসছে আমঝুপি বিএডিসির এই খামারে। উদ্দেশ্য সূর্যমূখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্যোগ। কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কৃষি খামারটি ফুল প্রেমীদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। খামারটির উপ-সহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই বীজ খামারে সূর্যমুখীর বীজ তৈরির জন্য আবাদ করা হয়। যখন ফুল ফোটে তখন দর্শনার্থীরা ভিড় করে। দর্শনার্থীরা যাতে ফুলের ক্ষতি না করে, সে জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীরা ফুল দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে সূর্যমুখী চাষে।

সূর্যমুখী ফুল দেখতে এসে কলেজছাত্রী প্রিয়া বলেন, ‘এতো সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে এখানেই থেকে যায়। আমার দারুণ লেগেছে।’ স্থানীয় আমঝুপি গ্রামের এক দর্শনার্থী অনেকটা গর্ব করেই বলেন, ‘এতো বড় সূর্যমুখীর বাগান আমি আর কোথাও দেখিনি। নিজের এলাকায় এতো সুন্দর দৃশ্য, প্রতিদিন না দেখে কি থাকা যায়।’

চুয়াডাঙ্গা থেকে সূর্যমুখী বাগানে আসা দর্শনার্থী শাকিল খান বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছিলাম। গত বছরও এই বাগানে এসেছিলাম। তবে দেরিতে আসায় ফুল একটু কম ছিল। এবার তাই আগেই চলে এসেছি।’ গাংনী থেকে বেড়াতে গিয়ে সাগর মিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে বউ দেখেছে। শুনেছিলাম এখানে চাষ হয়। এবারই প্রথম এসেছি। বউ-বাঁচ্চাসহ পুরো পরিবার এসেছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত

সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য্যে সেজেছে আমঝুপি বিএডিসি খামার

আপলোড টাইম : ০৯:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

মাহাবুল ইসলাম:
মেহেরপুরের আমঝুপি বিএডিসি ফার্মের সবুজের মাঠ সেজেছে সূর্যমুখীর অপরুপ সৌন্দর্য্য।ে বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য্য উপভোগ করার। আর সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা দিনভর ভিড় করছেন এই সূর্যমুখী বাগানে। দুপুরের পর থেকেই সৌন্দর্যপ্রেমীদের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানটি। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, আবার কেউ বা আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। সুন্দর স্মৃতিকে ধরে রাখতে হাসিমাখা ভঙ্গিতে মুঠোফোন কিংবা ক্যামেরায় ছবি তুলে তা আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি (বিএডিসি) ডাল ও সবজি বীজ খামারটি এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। খামারে চাষকৃত সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় করছেন হাজারো ফুল প্রেমীরা। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই সূর্যমূখী ফুলের উঁকি মারার দৃশ্য দেখতে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমী ও তরুণ-তরুণীরা। সূর্যমূখী ফুলের বাগানে সেলফি বা ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের ছবি দেখে গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। পার্শ্ববর্তী জেলার দর্শনার্থীরাও মাইক্রোবাস-কার ও মোটরসাইকেলযোগে ছুটে আসছেন।

খামার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরজুড়ে নানা ধরণের ডাল ও সবজির বীজ উৎপাদন হয়ে আসছে আমঝুপি বিএডিসির এই খামারে। উদ্দেশ্য সূর্যমূখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্যোগ। কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কৃষি খামারটি ফুল প্রেমীদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। খামারটির উপ-সহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই বীজ খামারে সূর্যমুখীর বীজ তৈরির জন্য আবাদ করা হয়। যখন ফুল ফোটে তখন দর্শনার্থীরা ভিড় করে। দর্শনার্থীরা যাতে ফুলের ক্ষতি না করে, সে জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীরা ফুল দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে সূর্যমুখী চাষে।

সূর্যমুখী ফুল দেখতে এসে কলেজছাত্রী প্রিয়া বলেন, ‘এতো সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে এখানেই থেকে যায়। আমার দারুণ লেগেছে।’ স্থানীয় আমঝুপি গ্রামের এক দর্শনার্থী অনেকটা গর্ব করেই বলেন, ‘এতো বড় সূর্যমুখীর বাগান আমি আর কোথাও দেখিনি। নিজের এলাকায় এতো সুন্দর দৃশ্য, প্রতিদিন না দেখে কি থাকা যায়।’

চুয়াডাঙ্গা থেকে সূর্যমুখী বাগানে আসা দর্শনার্থী শাকিল খান বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছিলাম। গত বছরও এই বাগানে এসেছিলাম। তবে দেরিতে আসায় ফুল একটু কম ছিল। এবার তাই আগেই চলে এসেছি।’ গাংনী থেকে বেড়াতে গিয়ে সাগর মিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে বউ দেখেছে। শুনেছিলাম এখানে চাষ হয়। এবারই প্রথম এসেছি। বউ-বাঁচ্চাসহ পুরো পরিবার এসেছি।’