ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন পাটের মুল্যে পাওয়ায় কৃষকরাও খুব খুশি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

vtsetr

আওয়াল হোসেন: দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষীরা পাটের বাম্পার ফলন পেলেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে।  দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি রফিকুজ্জামান জানান, এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে খাল বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে এ অঞ্চলের চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দামুড়হুদা উপচেলায় ৩শত হেক্টর জমিতে বেশী পাট চাষ হয়েছে। গত বছর যেখানে এ উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সে তুলনায় এ বছর কৃষকরা ১০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছে। এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৩ থেকে ১৫ মন পর্যন্ত পাট উৎপাদন হচ্ছে। এ মৌসুমে সময় মত সেচ এবং বৃষ্টির পানি হওয়ায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ বছর পাটের মূল্যে ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। চন্ডিপুর গ্রামের বাবর আলী মোস্তাক আহম্মেদ, আবেদ আলী ও পরাণপুর গ্রামের বক্তার আলী জানান, আমরা এ বছর পাটের ভালো ফলন পেয়েছি এবং পাটের মূল্যে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা হয়েছে। ফলে আমরা পাটের মুল্যে পাওয়ায় খুব খুশি। তবে আগে থেকে মহাজনদের কাছ থেকে পাট চাষের সময় অগ্রিম টাকা নেওয়ায় তাদের কাছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও পাট চাষ করে লাভবান হয়েছি। তবে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাটের রং খুব একটা ভালো হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এখানে বিঘা প্রতি পাট জাগ দিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পুকুর মালিককে দিতে হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন পাটের মুল্যে পাওয়ায় কৃষকরাও খুব খুশি

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৬

vtsetr

আওয়াল হোসেন: দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষীরা পাটের বাম্পার ফলন পেলেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে।  দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি রফিকুজ্জামান জানান, এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে খাল বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে এ অঞ্চলের চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর দামুড়হুদা উপচেলায় ৩শত হেক্টর জমিতে বেশী পাট চাষ হয়েছে। গত বছর যেখানে এ উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সে তুলনায় এ বছর কৃষকরা ১০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছে। এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৩ থেকে ১৫ মন পর্যন্ত পাট উৎপাদন হচ্ছে। এ মৌসুমে সময় মত সেচ এবং বৃষ্টির পানি হওয়ায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ বছর পাটের মূল্যে ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। চন্ডিপুর গ্রামের বাবর আলী মোস্তাক আহম্মেদ, আবেদ আলী ও পরাণপুর গ্রামের বক্তার আলী জানান, আমরা এ বছর পাটের ভালো ফলন পেয়েছি এবং পাটের মূল্যে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা হয়েছে। ফলে আমরা পাটের মুল্যে পাওয়ায় খুব খুশি। তবে আগে থেকে মহাজনদের কাছ থেকে পাট চাষের সময় অগ্রিম টাকা নেওয়ায় তাদের কাছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও পাট চাষ করে লাভবান হয়েছি। তবে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাটের রং খুব একটা ভালো হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এখানে বিঘা প্রতি পাট জাগ দিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পুকুর মালিককে দিতে হচ্ছে।