আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার জোড়গাছা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় নৌকার কর্মী ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান (৩৭) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৮) আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত জেসমিন খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক। প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করলেও লুকিয়ে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের সমর্থক হিসেবে কাজ করছে বলে জেনেছি। তার দুই ছেলে তরুণ ও তপন ঈগল প্রতীকের সমর্থক হিসেবে কাজ করছে। আব্দুর রশিদের বড় ভাইয়ের ছেলে হাসান স্বতন্ত্র ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থক। যেহেতু জানা মতে, আব্দুর রশিদ নৌকার সমর্থক, তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুর রশিদসহ উপস্থিতদের সামনে দনিজের ঘর আগে সামলিয়ে তারপর নৌকা প্রতীকের ভোট চাইতে হবে এমন কথা বলি। এরপরই আব্দুর রশিদ, তার দুই ছেলে ও ভাস্তের সঙ্গে আমার সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। তারপর যে যার মতো চলে যায়।’

আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে হঠাৎ আব্দুর রশিদের দুই ছেলে, তার ভাস্তেসহ ৩০-৪০ জন লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করে। আমার স্ত্রীকেও লাঠি দিয়ে হাতে আঘাত করেছে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি খুব বেশি আহত না হলেও আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ওই নারীর হাতের কবজি ফোলা এবং কালো স্পট আছে। এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছি। তারপর বলা যাবে আঘাতের পরিমাণ। আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল গনি মিয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইউপি সদস্য আনিছুর এবং তার প্রতিবেশী চাচা আব্দুর রশিদ দুজনই নৌকার পক্ষে। আবার ওই চাচার দুই ছেলের মধ্যে একজন ঈগল অপরজন ফ্রিজ প্রতীকের পক্ষে। তাদের মধ্যে কার কতজন লোকজন আছে এ নিয়ে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে মহিলারাও যোগ দেয়। এতে ইউপি সদস্যের স্ত্রী হাতে লাঠির আঘাতে আহত হয়। মামলা করলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’