ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রাগন চাষে বেকারত্ব ঘোচালেন নুর সাখাওয়াত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক আকারে বেড়েছে। এ ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন চাষীরা। এ ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আবার একজনের দেখে অন্যজনও এ চাষ শুরু করেছেন। লাভজনক এ চাষ দিন দিন বাড়ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ড্রাগন ফল চাষীদের নানাভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার মধ্যে সফল একজন চাষী রয়েছেন নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি কীভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন, জানিয়েছেন তার জীবনের গল্প। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর ব্লকের বানিয়াকান্দর গ্রামে বাড়ি নুর সাখাওয়াত ইসলামের। তিনি লেখাপড়া করে বেকারত্ব অবস্থায় দিনযাপন করতেন। পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ড্রাগন চাষ দেখে তার আগ্রহ বাড়ে। তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে গত ২০২০ সালে প্রথমে এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। পরে এ চাষে লাভ দ্বিগুণ হওয়ার কারণে তিনি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমানে ৬ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করছেন। তার এই বাগান দেখার জন্য চারজন শ্রমিকের বেতনসহ বছরে বিঘা প্রতি ৩ লাখ টাকা আয় করছেন। তিনি সংসার চালিয়েও লাভের টাকা দিয়ে দিন দিন চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি সংসার জীবন ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এ চাষ করছেন। তিনি সাধারণ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এই ড্রাগন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকেন। এদিকে বাগানে কর্মরত শ্রমিকেরা বলেন, ড্রাগন ফল দেখাশোনা ও ফল ছিড়ে প্রস্তুত করে দিই। আমাদের মাসে যে টাকা দেয় তাতে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহানারা খাতুন জানান, ড্রাগন একটি লাভজনক চাষ। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকার অনেকেই এখন এ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যার কারণে এ জেলাতে দিন দিন ড্রাগনের চাষ বাড়ছে। এছাড়া অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হচ্ছে স্বাবলম্বী। আর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর ও সার্বিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নুর-এ নবী জানান, জেলার ৬টি উপজেলাতে ৮৪২ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষাবাদ হয়েছে। এ ফল চাষের সাথে ৮ হাজার কৃষক জড়িত। আমরা সার-কারিগরি ও পানি সেচের বিষয়ে সকল পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দিই। লাভজনক এ চাষে বেকার যুবক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে। ড্রাগন এখন দেশের বাইরেও যাচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ড্রাগন চাষে বেকারত্ব ঘোচালেন নুর সাখাওয়াত

আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দিন দিন ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক আকারে বেড়েছে। এ ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন চাষীরা। এ ফল চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আবার একজনের দেখে অন্যজনও এ চাষ শুরু করেছেন। লাভজনক এ চাষ দিন দিন বাড়ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ড্রাগন ফল চাষীদের নানাভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার মধ্যে সফল একজন চাষী রয়েছেন নুর সাখাওয়াত ইসলাম। তিনি কীভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন, জানিয়েছেন তার জীবনের গল্প। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর ব্লকের বানিয়াকান্দর গ্রামে বাড়ি নুর সাখাওয়াত ইসলামের। তিনি লেখাপড়া করে বেকারত্ব অবস্থায় দিনযাপন করতেন। পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ড্রাগন চাষ দেখে তার আগ্রহ বাড়ে। তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে গত ২০২০ সালে প্রথমে এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। পরে এ চাষে লাভ দ্বিগুণ হওয়ার কারণে তিনি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমানে ৬ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করছেন। তার এই বাগান দেখার জন্য চারজন শ্রমিকের বেতনসহ বছরে বিঘা প্রতি ৩ লাখ টাকা আয় করছেন। তিনি সংসার চালিয়েও লাভের টাকা দিয়ে দিন দিন চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি সংসার জীবন ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এ চাষ করছেন। তিনি সাধারণ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এই ড্রাগন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকেন। এদিকে বাগানে কর্মরত শ্রমিকেরা বলেন, ড্রাগন ফল দেখাশোনা ও ফল ছিড়ে প্রস্তুত করে দিই। আমাদের মাসে যে টাকা দেয় তাতে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহানারা খাতুন জানান, ড্রাগন একটি লাভজনক চাষ। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকার অনেকেই এখন এ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যার কারণে এ জেলাতে দিন দিন ড্রাগনের চাষ বাড়ছে। এছাড়া অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হচ্ছে স্বাবলম্বী। আর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর ও সার্বিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নুর-এ নবী জানান, জেলার ৬টি উপজেলাতে ৮৪২ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষাবাদ হয়েছে। এ ফল চাষের সাথে ৮ হাজার কৃষক জড়িত। আমরা সার-কারিগরি ও পানি সেচের বিষয়ে সকল পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দিই। লাভজনক এ চাষে বেকার যুবক বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে। ড্রাগন এখন দেশের বাইরেও যাচ্ছে।