ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাই : নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা রাতে ডাকাতি হলেও দেখা মেলেনা পুলিশের ! আতঙ্কে গ্রামবাসী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

feqaerferনিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কে গত বৃহস্পতিবার ছিনতাই, মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি সড়কে গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের চেষ্টা সহ সোনাতনপুর গ্রামের এক বাড়িতে এবং মাদারহুদা গ্রামের দু’বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এলাকাবাসীর দাবী সন্ধ্যা রাত ৮ টা থেকে ভোর ৪ টার পর্যন্ত ২ স্থানে ছিনতাই ও ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা পুলিশের উপস্থিতি যেমন টের পাওয়া যায়নি। তেমনি সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কের কাতলমারী রাস্তায় প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশি টহল চোখে পড়ে না। মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ডিউটিতে অবহেলার কারণে সড়ক গুলোতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের মাদারহুদা গ্রামের কায়েম উদ্দিনের দুই ছেলে লাল্টু ও ইকরামুল মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে পাওয়ার টিলার মেরামত করে  গ্রামে ফিরছিলো। বাড়ি ফেরার পথে মাদারহুদা সড়কের কাতলমারী মাঠ নামক স্থানে পৌছালে সড়কের উপর পাটের বোঝা দিয়ে বেরিকেট দিয়ে তাদের গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। ডাকাত চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের হাত-পা কাচাঁ পাটের রশি দিয়ে বেধেঁ সড়কের পাশে ফেলে রাখে। তাদের কাছে থাকা নগত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় চিনতাইকারীরা। রাত ৯ টার দিকে একই পথ দিয়ে মাদারহুদা গ্রামের সাহাবউদ্দিন ও তার ছেলে মুন্সিগঞ্জ বাজারের ফল ব্যবসায়ী বাবলু ও গোপালনগর গ্রামের এক দুধ ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধেঁ রাখে ডাকাত দল। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাদের হাতের পায়ের বাধঁন খুলে ছেড়ে দেয়।
ডাকাত দল রাত ১০ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ-গোয়ালবাড়ি সড়কে একটি শিমুল গাছ কেটে সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। রাত ১টার দিকে সোনাতনপুর গ্রামের মৃত জাকের আলীর ছেলে আখের আলীর বাড়িতে হামলা করে একই ডাকাত দল। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে একটি বিদেশী টর্চ লাইট, একটি মেবাইল ফোন, ৫ হাজার নগত টাকা সহ দুই জোড়া কানের দুল ও লুঙ্গি ছিনিয়ে নেয়।  একই ডাকাত দল রাত ২ টার দিকে মাদারহুদা গ্রামের মৃত মতিয়ারের ছেলে শিতল ও মিঠুনের  পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে ২ টা মোবাইল ফোন, ১ টি স্বর্ণের চেইন, ১ টি কানের দুল, ১ টি রুপার হার, ১ শত টাকা নগত ১৩ টাকা টাকা ছিনিয়ে নেই ডাকাত দল।  অপর দিকে মাদারহুদা গ্রামের ক্যানাল পাড়ার আবুলের ছেলে নুর হোসেনের বাড়িতে একই ডাকাত দল হামলা চালিয়ে রাত ৩ টার দিকে পরিবারের লোকজনের ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে দুই জোড়া রুপার চেইন, জামার পকেটে থাকা ৭শত টাকা, নাকের নথ ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন জানান, ডাকাত দলে ১০/১২ জনের মত লোক ছিলো। তাদের সকলের পরনে কালো হাফ প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি ছিলো। কালো কাপড় দিয়ে মুখ বাধাঁ ছিলো। একজনের মুখ খোলা ছিলো বয়স ৪০/৪৫ এর মত হবে। তাদের কয়েকজন পাশ্ববর্তী জেলার লোকজনের মত ভাষায় কথা বলছিলো।  গত শুক্রবার সকাল ১০টার সময় সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মেহেদি রাসেল, মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের আইসি এসআই সেকেন্দার ও টু-আইসি এএসআই তরিকুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানাই, গোয়ালবাড়ি ও মাদারহুদা সড়কে ছিনতাই ও সোনাতনপুর এবং মাদাহুদার ২ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সিরিজ ডাকাতি হলেও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ওই এলাকায় পুলিশি টহল থাকলে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না বলে এলাকাবাসীর অনেকে মন্তব্য করেছে। ঘটনার রাত ১০পর্যন্ত নতিডাঙ্গা মধুখালী মাঠে পুলিশ থাকলেও মাত্র আধা কি: মি: রাস্তার ব্যবধানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাই এলাকাবাসী হতবাক হয়েছে।  তবে কি পুলিশের সহযোগিতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে? এমন হাজারো প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কে প্রায় ছিনতায়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশের টহল চোখে পড়ে না। কিছুদিন আগে মাদারহুদা গ্রামের এক পল্লি চিকিৎসকের মারধোর করে মোটরসাইকেল ছিনতায়ের চেষ্টা করে ডাকাত দল। এছাড়া একই গ্রামের মুন্সিগঞ্জ বাজারের এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেই। লাগাতার ছিনতাই ও ডাকাতী এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করার আহবান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাই : নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা রাতে ডাকাতি হলেও দেখা মেলেনা পুলিশের ! আতঙ্কে গ্রামবাসী!

আপলোড টাইম : ০৮:১৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৬

feqaerferনিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কে গত বৃহস্পতিবার ছিনতাই, মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি সড়কে গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের চেষ্টা সহ সোনাতনপুর গ্রামের এক বাড়িতে এবং মাদারহুদা গ্রামের দু’বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করেছে। এলাকাবাসীর দাবী সন্ধ্যা রাত ৮ টা থেকে ভোর ৪ টার পর্যন্ত ২ স্থানে ছিনতাই ও ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা পুলিশের উপস্থিতি যেমন টের পাওয়া যায়নি। তেমনি সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কের কাতলমারী রাস্তায় প্রায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশি টহল চোখে পড়ে না। মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ডিউটিতে অবহেলার কারণে সড়ক গুলোতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের মাদারহুদা গ্রামের কায়েম উদ্দিনের দুই ছেলে লাল্টু ও ইকরামুল মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে পাওয়ার টিলার মেরামত করে  গ্রামে ফিরছিলো। বাড়ি ফেরার পথে মাদারহুদা সড়কের কাতলমারী মাঠ নামক স্থানে পৌছালে সড়কের উপর পাটের বোঝা দিয়ে বেরিকেট দিয়ে তাদের গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। ডাকাত চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের হাত-পা কাচাঁ পাটের রশি দিয়ে বেধেঁ সড়কের পাশে ফেলে রাখে। তাদের কাছে থাকা নগত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় চিনতাইকারীরা। রাত ৯ টার দিকে একই পথ দিয়ে মাদারহুদা গ্রামের সাহাবউদ্দিন ও তার ছেলে মুন্সিগঞ্জ বাজারের ফল ব্যবসায়ী বাবলু ও গোপালনগর গ্রামের এক দুধ ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধেঁ রাখে ডাকাত দল। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাদের হাতের পায়ের বাধঁন খুলে ছেড়ে দেয়।
ডাকাত দল রাত ১০ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ-গোয়ালবাড়ি সড়কে একটি শিমুল গাছ কেটে সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। রাত ১টার দিকে সোনাতনপুর গ্রামের মৃত জাকের আলীর ছেলে আখের আলীর বাড়িতে হামলা করে একই ডাকাত দল। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে একটি বিদেশী টর্চ লাইট, একটি মেবাইল ফোন, ৫ হাজার নগত টাকা সহ দুই জোড়া কানের দুল ও লুঙ্গি ছিনিয়ে নেয়।  একই ডাকাত দল রাত ২ টার দিকে মাদারহুদা গ্রামের মৃত মতিয়ারের ছেলে শিতল ও মিঠুনের  পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে ২ টা মোবাইল ফোন, ১ টি স্বর্ণের চেইন, ১ টি কানের দুল, ১ টি রুপার হার, ১ শত টাকা নগত ১৩ টাকা টাকা ছিনিয়ে নেই ডাকাত দল।  অপর দিকে মাদারহুদা গ্রামের ক্যানাল পাড়ার আবুলের ছেলে নুর হোসেনের বাড়িতে একই ডাকাত দল হামলা চালিয়ে রাত ৩ টার দিকে পরিবারের লোকজনের ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে দুই জোড়া রুপার চেইন, জামার পকেটে থাকা ৭শত টাকা, নাকের নথ ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন জানান, ডাকাত দলে ১০/১২ জনের মত লোক ছিলো। তাদের সকলের পরনে কালো হাফ প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি ছিলো। কালো কাপড় দিয়ে মুখ বাধাঁ ছিলো। একজনের মুখ খোলা ছিলো বয়স ৪০/৪৫ এর মত হবে। তাদের কয়েকজন পাশ্ববর্তী জেলার লোকজনের মত ভাষায় কথা বলছিলো।  গত শুক্রবার সকাল ১০টার সময় সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মেহেদি রাসেল, মুন্সিগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশের আইসি এসআই সেকেন্দার ও টু-আইসি এএসআই তরিকুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানাই, গোয়ালবাড়ি ও মাদারহুদা সড়কে ছিনতাই ও সোনাতনপুর এবং মাদাহুদার ২ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সিরিজ ডাকাতি হলেও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ওই এলাকায় পুলিশি টহল থাকলে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না বলে এলাকাবাসীর অনেকে মন্তব্য করেছে। ঘটনার রাত ১০পর্যন্ত নতিডাঙ্গা মধুখালী মাঠে পুলিশ থাকলেও মাত্র আধা কি: মি: রাস্তার ব্যবধানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাই এলাকাবাসী হতবাক হয়েছে।  তবে কি পুলিশের সহযোগিতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে? এমন হাজারো প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের সোনাতনপুর মাদারহুদা সড়কে প্রায় ছিনতায়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশের টহল চোখে পড়ে না। কিছুদিন আগে মাদারহুদা গ্রামের এক পল্লি চিকিৎসকের মারধোর করে মোটরসাইকেল ছিনতায়ের চেষ্টা করে ডাকাত দল। এছাড়া একই গ্রামের মুন্সিগঞ্জ বাজারের এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেই। লাগাতার ছিনতাই ও ডাকাতী এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করার আহবান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।