ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে পশুহাটগুলো, বাড়ছে ক্রেতা সমাগম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রস্তুত মেহেরপুরের খামারীরা। রাজধানীর পশুহাটগুলো জমে না উঠলেও ইতোমধ্যে মেহেরপুর, বামুন্দী, আলমডাঙ্গা ও কাতলামারী পশুহাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরুর সরবরাহ না থাকায় কোরবানির ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশী জাতের গরুই বেশি পাওয়া যাবে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা। এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারীরা।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারী রয়েছেন ২৯ হাজার ৪৫০ জন। জেলায় এবার ৯০ হাজার পশু কোরবানির চাহিদা থাকলেও তার বিপরীতে পশু রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি। এ বছর মেহেরপুরে কোরবানির জন্য যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাতে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

জেলার গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের খামারী হাজী আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার খামারে শাহী ওয়াল দেশীয় জাতের ৯টি গরু রয়েছে। আমরা গরুকে কোনো প্রকারের রাসায়নিক খাদ্য দিচ্ছি না, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দানাদার খাবার, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস, বিচালি, খৈল, চিটাগুড় এসব খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।’

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানি নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, জেলার বাজারগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রাখা হচ্ছে। পাঁচটি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন পশুহাটে সেবা প্রদান করছে।’

মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে চুরি, ছিনতাই, প্রতারণাসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ, গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে পশু বেচা-কেনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জমে উঠেছে পশুহাটগুলো, বাড়ছে ক্রেতা সমাগম

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রস্তুত মেহেরপুরের খামারীরা। রাজধানীর পশুহাটগুলো জমে না উঠলেও ইতোমধ্যে মেহেরপুর, বামুন্দী, আলমডাঙ্গা ও কাতলামারী পশুহাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরুর সরবরাহ না থাকায় কোরবানির ঈদে পশুর হাটগুলোতে দেশী জাতের গরুই বেশি পাওয়া যাবে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা। এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারীরা।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারী রয়েছেন ২৯ হাজার ৪৫০ জন। জেলায় এবার ৯০ হাজার পশু কোরবানির চাহিদা থাকলেও তার বিপরীতে পশু রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি। এ বছর মেহেরপুরে কোরবানির জন্য যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাতে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

জেলার গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের খামারী হাজী আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার খামারে শাহী ওয়াল দেশীয় জাতের ৯টি গরু রয়েছে। আমরা গরুকে কোনো প্রকারের রাসায়নিক খাদ্য দিচ্ছি না, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দানাদার খাবার, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস, বিচালি, খৈল, চিটাগুড় এসব খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।’

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানি নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, জেলার বাজারগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রাখা হচ্ছে। পাঁচটি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন পশুহাটে সেবা প্রদান করছে।’

মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে চুরি, ছিনতাই, প্রতারণাসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ, গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে পশু বেচা-কেনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন।