ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের জমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৫৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ২০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে ৮৫ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫ শ জন জমির মালিককে ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন মালিককে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরে অধিগ্রহণকৃত জমির স্থানে উপস্থিত হয়ে প্রথম ধাপে ৯ জন জমির মালিকের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কর্তৃক জেলায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। যার প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর গ্রামে ৫৭ দশমিক ২৮ একর এবং হায়দারপুর গ্রামে ২৮ দশমিক ৪৫ একরসহ সর্বমোট ৮৫ দশকি ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এটি এ জেলার সর্ববৃহৎ অধিগ্রহণকৃত জমি। প্রকল্পে অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫ শ জন জমির মালিককে ধাপে ধাপে ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা প্রদান করা হবে। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই জমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হবে। যা বাংলাদেশে বান্দরবন জেলার পর ২য় জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় স্থাপিত হচ্ছে। যা চুয়াডাঙ্গাবাসীর অনেক বড় পাওয়া। জেলার উন্নয়নের জন্য এমন উন্নয়ন প্রকল্প খুব প্রয়োজন। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়। এসকল উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার জন্য কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হয়। অনেক সময় তাদের সব জমি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে চলে যায়। তবে এই জমির জন্য সরকার জমির মূল্যের অতিরিক্ত তিন গুণ টাকা দিয়ে থাকে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের হয়রানি ছাড়াই টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের জমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর

আপলোড টাইম : ০৬:৫৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে ৮৫ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫ শ জন জমির মালিককে ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন মালিককে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরে অধিগ্রহণকৃত জমির স্থানে উপস্থিত হয়ে প্রথম ধাপে ৯ জন জমির মালিকের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কর্তৃক জেলায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। যার প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর গ্রামে ৫৭ দশমিক ২৮ একর এবং হায়দারপুর গ্রামে ২৮ দশমিক ৪৫ একরসহ সর্বমোট ৮৫ দশকি ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এটি এ জেলার সর্ববৃহৎ অধিগ্রহণকৃত জমি। প্রকল্পে অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫ শ জন জমির মালিককে ধাপে ধাপে ৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা প্রদান করা হবে। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই জমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হবে। যা বাংলাদেশে বান্দরবন জেলার পর ২য় জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় স্থাপিত হচ্ছে। যা চুয়াডাঙ্গাবাসীর অনেক বড় পাওয়া। জেলার উন্নয়নের জন্য এমন উন্নয়ন প্রকল্প খুব প্রয়োজন। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়। এসকল উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার জন্য কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হয়। অনেক সময় তাদের সব জমি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে চলে যায়। তবে এই জমির জন্য সরকার জমির মূল্যের অতিরিক্ত তিন গুণ টাকা দিয়ে থাকে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের হয়রানি ছাড়াই টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’