ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মনোহরপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজনের কাজে নয়ছয়!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ১২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মনোহরপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজনের কাজে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের বাইরের শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া সরকারি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কাজ না করে শ্রমিকদের দিয়ে অন্যস্থানে কাজ করানো এবং কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে লিস্টের সকল শ্রমিকের টাকা তোলা হচ্ছে।

জানা গেছে, কর্মসৃজনের শ্রমিকদের দিয়ে গত চারদিন ধরে মনোহরপুর গ্রামের এবতেদায়ী মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে। মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে করানোর কোনো নিয়ম না থাকলেও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও কর্মসৃজন কমিটির সভাপতি চামেলী বেগমের মৌখিক নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মনোহরপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা মাটি ভরাটের কাজ করছেন। তারা বলছেন, চেয়ারম্যান এবং পিআইসি যেখানে কাজ করতে বলেন, সেখানেই তারা কাজ করতে বাধ্য। তবে গত ১৬ দিন ধরে কাজ করেও তারা কোনো পারিশ্রমিক পাননি।

কর্মসৃজন কাজের সর্দার সাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও পিআইসি চামেলী মেম্বারের মৌখিক নির্দেশে আমরা চারদিন ধরে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করছি।’ মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের্র সদস্য ও কর্মসৃজন কাজের পিআইসি চামেলী খাতুন বলেন, ‘কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করানোর কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করছেন।’
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, ‘মাদ্রাসা ব্যক্তিগত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। মাদ্রাসায় মাটি দেওয়ার কারণে পিআইও যদি মনে করেন তাদের হাজিরা (টাকা) দেবে না, তাহলে শ্রমিকদের টাকা মাদ্রাসা কমিটি দিয়ে দেবে।’ জীবননগর উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্মসৃজনের শ্রমিকদের কোনো প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাটের কাজে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা মাদ্রাসা চত্বরে মাটি ভরাটের কাজ করছেন, এমন কোনো কিছু আমার জানা নেই। তবে আমি অফিসের লোক পাঠিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মনোহরপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজনের কাজে নয়ছয়!

আপলোড টাইম : ০৮:০১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মনোহরপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজনের কাজে তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের বাইরের শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া সরকারি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কাজ না করে শ্রমিকদের দিয়ে অন্যস্থানে কাজ করানো এবং কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে লিস্টের সকল শ্রমিকের টাকা তোলা হচ্ছে।

জানা গেছে, কর্মসৃজনের শ্রমিকদের দিয়ে গত চারদিন ধরে মনোহরপুর গ্রামের এবতেদায়ী মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে। মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের কাজ কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে করানোর কোনো নিয়ম না থাকলেও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও কর্মসৃজন কমিটির সভাপতি চামেলী বেগমের মৌখিক নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মনোহরপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা মাটি ভরাটের কাজ করছেন। তারা বলছেন, চেয়ারম্যান এবং পিআইসি যেখানে কাজ করতে বলেন, সেখানেই তারা কাজ করতে বাধ্য। তবে গত ১৬ দিন ধরে কাজ করেও তারা কোনো পারিশ্রমিক পাননি।

কর্মসৃজন কাজের সর্দার সাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও পিআইসি চামেলী মেম্বারের মৌখিক নির্দেশে আমরা চারদিন ধরে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করছি।’ মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের্র সদস্য ও কর্মসৃজন কাজের পিআইসি চামেলী খাতুন বলেন, ‘কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে মাদ্রাসার মাটি ভরাটের কাজ করানোর কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের নির্দেশে শ্রমিকেরা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ করছেন।’
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, ‘মাদ্রাসা ব্যক্তিগত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। মাদ্রাসায় মাটি দেওয়ার কারণে পিআইও যদি মনে করেন তাদের হাজিরা (টাকা) দেবে না, তাহলে শ্রমিকদের টাকা মাদ্রাসা কমিটি দিয়ে দেবে।’ জীবননগর উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্মসৃজনের শ্রমিকদের কোনো প্রতিষ্ঠানের মাটি ভরাটের কাজে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। কর্মসৃজনের শ্রমিকেরা মাদ্রাসা চত্বরে মাটি ভরাটের কাজ করছেন, এমন কোনো কিছু আমার জানা নেই। তবে আমি অফিসের লোক পাঠিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নেব।’