ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার কন্যাশিশুকে দেখতে হাসপাতালে ডিসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া চার কন্যাসন্তানের নাম রাখলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। গতকাল বুধবার দুপুরে কন্যাশিশুদের দেখতে গিয়ে পরিবারের অনুরোধে জেলা প্রশাসক দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া নাম দেন ওই শিশুদের। এসময় তিনি শিশুর পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের দিনমজুর মাহাবুবের স্ত্রী চার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তবে অপুষ্ট হওয়ায় তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, চার কন্যা সন্তানের জন্মদানের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কন্যাশিশুদের দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা শহরে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দিনমজুর মাহাবুব তাঁর পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কথাও জানান। বিষয়টি নজরে পড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের। পরে গতকাল দুপুরে তিনি ফুল ও মিষ্টি নিয়ে জমজ চার কন্যা সন্তানকে দেখতে যান। এসময় পরিবারের অনুরোধে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান চার কন্যা সন্তানের নাম রাখেন এবং শিশুদের পিতা-মাতার হাতে নগদ ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন।

ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চারটি কন্যা সন্তান একসাথে জন্ম নিয়েছে। মিষ্টি ও ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘চার সন্তান কিছুটা অপুষ্ট। তবে অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে। সবাই আমার তত্ত্বাবধানে আছে।’ চার কন্যার জনক মাহাবুব বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার ১০ বছর বয়সী এক ছেলে আছে। এক সঙ্গে চার কন্যা হয়েছে। আমি খুশি। দিনমজুর করে আমার সংসার চলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিসি স্যার আসছিল। মেয়েদের নাম রেখেছেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। ১০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন, ফুল ও মিষ্টিও এনেছিলেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. আকলিমা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার কন্যাশিশুকে দেখতে হাসপাতালে ডিসি

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া চার কন্যাসন্তানের নাম রাখলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। গতকাল বুধবার দুপুরে কন্যাশিশুদের দেখতে গিয়ে পরিবারের অনুরোধে জেলা প্রশাসক দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া নাম দেন ওই শিশুদের। এসময় তিনি শিশুর পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের দিনমজুর মাহাবুবের স্ত্রী চার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তবে অপুষ্ট হওয়ায় তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, চার কন্যা সন্তানের জন্মদানের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কন্যাশিশুদের দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা শহরে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দিনমজুর মাহাবুব তাঁর পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কথাও জানান। বিষয়টি নজরে পড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের। পরে গতকাল দুপুরে তিনি ফুল ও মিষ্টি নিয়ে জমজ চার কন্যা সন্তানকে দেখতে যান। এসময় পরিবারের অনুরোধে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান চার কন্যা সন্তানের নাম রাখেন এবং শিশুদের পিতা-মাতার হাতে নগদ ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন।

ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চারটি কন্যা সন্তান একসাথে জন্ম নিয়েছে। মিষ্টি ও ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘চার সন্তান কিছুটা অপুষ্ট। তবে অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে। সবাই আমার তত্ত্বাবধানে আছে।’ চার কন্যার জনক মাহাবুব বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার ১০ বছর বয়সী এক ছেলে আছে। এক সঙ্গে চার কন্যা হয়েছে। আমি খুশি। দিনমজুর করে আমার সংসার চলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিসি স্যার আসছিল। মেয়েদের নাম রেখেছেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। ১০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন, ফুল ও মিষ্টিও এনেছিলেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. আকলিমা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ।