তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা
- আপলোড টাইম : ০২:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
- / ৯১ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ প্রতিবেদক:
শরীরে ফোস্কা ওঠা রোদ আর তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে এ জেলায় মানুষের টিকে থাকাই এখন মুশকিল হয়ে উঠেছে। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া সে অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে সবাই। তীব্র তাপপ্রবাহে যখন প্রাণিকুলের হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনও সহসাই মিলছে না কোনো সুখবর।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিতে পরেছে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া ঠান্ডা শরবত, ডাব, আইসক্রিম ও টিউবওয়েল থেকে পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলায় টানা তিন দিন ধরে বিরাজ করছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বেলা তিনটায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী দুদিন রয়েছে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা ১৫ দিন এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এপ্রিল মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গত কয়েক দিনে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় এ জেলায়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের কোর্ট মোড়ে একটু ছায়াযুক্ত স্থান খুঁজে লিচু বিক্রি করছিলেন এক ব্যবসায়ী। তিনি সময়ের সমীকরণকে বলেন, ‘তীব্র গরমে যেন ছাতিফেটে যাচ্ছে। বোতলে রেখে পানি খাওয়ার উপায় নেই, ২ মিনিটের মধ্যেই পানি গরম হয়ে যাচ্ছে। ঘাম হচ্ছে, শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পাশের একটি ‘কল’ (টিউবওয়েল) থেকে হাতমুখে পানি দিয়েও আসছি। এই গরমে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। লিচু বিক্রিও কম, সকালে লিচু ভেঙে এনেছি, দুপুরের মধ্যে সব পাতা শুকিয়ে গেছে।’
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরও বাড়াতে পারে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে ১২ মে থেকে বৃষ্টিপাত হত পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যাবে। তবে এর আগ পর্যন্ত দাবদাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’