ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চার কোচিং সেন্টারে তালা ও জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখায় চুয়াডাঙ্গা শহরের চারটি কোচিং সেন্টারে তালা ও একটি কোচিং সেন্টারের মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। তিনি সরকারি নির্দেশনা না মানার অপরাধে চারটি কোচিং সেন্টারকে এ দণ্ড দেন।

জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিলো। এ বিষয়ে গতকাল দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘চুয়াডাঙ্গায় মানা হচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা, এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও চলেছে কোচিং’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। শহরের সিনেমা হলপাড়া, কলেজ পাড়া, কলেজ রোডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালান। এসময় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টার চালু রাখার অপরাধে শহরের চারটি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয় এবং সিনেমা হল পাড়ার স্টাডি হোম কোচিং সেন্টারের পরিচালক মুনজুরুল ইসলাম মনজুকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, সরকরি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টারগুলো চলছিলো এমন চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তালা দেয়া হয়েছে এবং অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর আছি। প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করবে।
তিনি আরও বলেন, একটুখানি রুমের মধ্যে পড়র পরিবেশ নেই, তাও বাচ্চাদের ঠেসে ঠেসে বসিয়ে কোচিং করানো হচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন। এভাবে শিক্ষার মান আরও কমছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিলো এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলামকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। তিনি ভ্রাম্যামাণ আদালতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখার দায়ে শহরের ৪টি কোচিং সেন্টার তালাবন্ধ ও একজন কোচিং সেন্টারের মালিককে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চার কোচিং সেন্টারে তালা ও জরিমানা

আপলোড টাইম : ১০:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখায় চুয়াডাঙ্গা শহরের চারটি কোচিং সেন্টারে তালা ও একটি কোচিং সেন্টারের মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা তিনটায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। তিনি সরকারি নির্দেশনা না মানার অপরাধে চারটি কোচিং সেন্টারকে এ দণ্ড দেন।

জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিলো। এ বিষয়ে গতকাল দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘চুয়াডাঙ্গায় মানা হচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা, এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও চলেছে কোচিং’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। শহরের সিনেমা হলপাড়া, কলেজ পাড়া, কলেজ রোডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালান। এসময় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টার চালু রাখার অপরাধে শহরের চারটি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয় এবং সিনেমা হল পাড়ার স্টাডি হোম কোচিং সেন্টারের পরিচালক মুনজুরুল ইসলাম মনজুকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, সরকরি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টারগুলো চলছিলো এমন চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তালা দেয়া হয়েছে এবং অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর আছি। প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করবে।
তিনি আরও বলেন, একটুখানি রুমের মধ্যে পড়র পরিবেশ নেই, তাও বাচ্চাদের ঠেসে ঠেসে বসিয়ে কোচিং করানো হচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন। এভাবে শিক্ষার মান আরও কমছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিলো এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলামকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। তিনি ভ্রাম্যামাণ আদালতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখার দায়ে শহরের ৪টি কোচিং সেন্টার তালাবন্ধ ও একজন কোচিং সেন্টারের মালিককে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর।’