ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রেতাকে ঠকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় কাঁচাবাজার ও কাপড়ের মার্কেট মনিটরিং করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের যৌথ দল। এসময় অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে শহরের নিচের বাজার, নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটিতে যৌথভাবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় নিচের বাজারের সবজির বাজার তদারকি করা হয়। একইসাথে মুদিখানার দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছোলার দাম বেশি নেওয়ায় রবগুল স্টোরকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর মাছ ও মাংসের বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় ক্রয় ভাউচার না থাকা এবং অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রির অভিযোগে আকাশ ফিশ হাউজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটির কাপড়েরর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ক্রয়মূল্যের তুলনায় বিক্রয় মূল্য অনেক বেশি  হওয়ায় আব্দুল্লাহ সিটির বিপুল গার্মেন্টসকে ২ হাজার টাকা, নিউ মার্কেটের নন্দনকে ১০ হাজার টাকা, হৃদয় গার্মেন্টসকে ৫ হাজার ও চুয়াডাঙ্গা শাড়ী হাউজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করতে না পারে, সে জন্য বাজার মনিটরিং করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্যতালিকা না থাকা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঈদের আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। ক্রেতাকে ঠকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, আনিসুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, এনডিসি সাদাত হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, জেলা বিপণন  কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ক্রেতাকে ঠকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ০৪:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় কাঁচাবাজার ও কাপড়ের মার্কেট মনিটরিং করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের যৌথ দল। এসময় অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে শহরের নিচের বাজার, নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটিতে যৌথভাবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় নিচের বাজারের সবজির বাজার তদারকি করা হয়। একইসাথে মুদিখানার দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছোলার দাম বেশি নেওয়ায় রবগুল স্টোরকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর মাছ ও মাংসের বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় ক্রয় ভাউচার না থাকা এবং অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রির অভিযোগে আকাশ ফিশ হাউজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের নিউ মার্কেট ও আব্দুল্লাহ সিটির কাপড়েরর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ক্রয়মূল্যের তুলনায় বিক্রয় মূল্য অনেক বেশি  হওয়ায় আব্দুল্লাহ সিটির বিপুল গার্মেন্টসকে ২ হাজার টাকা, নিউ মার্কেটের নন্দনকে ১০ হাজার টাকা, হৃদয় গার্মেন্টসকে ৫ হাজার ও চুয়াডাঙ্গা শাড়ী হাউজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করতে না পারে, সে জন্য বাজার মনিটরিং করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্যতালিকা না থাকা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঈদের আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। ক্রেতাকে ঠকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, আনিসুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, এনডিসি সাদাত হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, জেলা বিপণন  কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।