ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না কার্ডধারীরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না কার্ডধারীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয় টিসিবির পণ্য বিতরণ। কিন্তু অনেকের নামে টিসিবির কার্ড থাকলেও টোকেন না থাকায় পণ্য পাননি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, হাউলী ইউনিয়নে ২ হাজার ২০৬ জনের নামে টিসিবির কার্ড রয়েছে। কার্ড থাকতেও নতুন করে টোকেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। টোকেনগুলো ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। মেম্বারগণ কার্ডধারীদের কাছে টোকেন পৌঁছে দেবে এবং সেই টোকনে পণ্য উঠবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কার্ডধারীদের কাছে নতুন টোকেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়া হাজেরা খাতুন জানান, তাঁর নামে টিসিবির কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি টোকেন না পাওয়ায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না। ফলে তাঁর কার্ডে এ মাসে পণ্য তুলতে পারেননি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, ইউনিয়নে কয়েকশ মানুষ টিসিবির কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য তুলতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে টোকনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে যাকে ইচ্ছা তাকে টোকন দেওয়া যায়। যাদের নামে টিসিবির কার্ড নেই, মূলত তাদেরকেই টোকন দেওয়া হয়েছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা। একজন ব্যক্তিকে চার-পাঁচটা কার্ডের পণ্য তুলতে দেখা গেছে। এমন অসংখ্য ব্যক্তি একাধিক কার্ডের পণ্য তুলেছেন। এতে কার্ডের সুষম বণ্টন হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, ‘যে টোকেন জমা দিচ্ছে, তাকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। আমার মাল বুঝ করে দেওয়ার দায়িত্ব। ইউনিয়নের ২ হাজার ২০৬ জনের টোকেন নিয়ে মাল দেওয়া হয়েছে।’

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি কেউ কেউ নাকি টোকেন পায়নি। যার যার ওয়ার্ডের টোকেন, সেই ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে বুঝ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা শতভাগ পণ্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, ‘টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা যদি পণ্য না পায়, তাহলে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টিসিবির কার্ড নিয়ে কোনোরকম অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না কার্ডধারীরা!

আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না কার্ডধারীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয় টিসিবির পণ্য বিতরণ। কিন্তু অনেকের নামে টিসিবির কার্ড থাকলেও টোকেন না থাকায় পণ্য পাননি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, হাউলী ইউনিয়নে ২ হাজার ২০৬ জনের নামে টিসিবির কার্ড রয়েছে। কার্ড থাকতেও নতুন করে টোকেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। টোকেনগুলো ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। মেম্বারগণ কার্ডধারীদের কাছে টোকেন পৌঁছে দেবে এবং সেই টোকনে পণ্য উঠবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কার্ডধারীদের কাছে নতুন টোকেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়া হাজেরা খাতুন জানান, তাঁর নামে টিসিবির কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি টোকেন না পাওয়ায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না। ফলে তাঁর কার্ডে এ মাসে পণ্য তুলতে পারেননি। শুধু হাজেরা খাতুন নয়, ইউনিয়নে কয়েকশ মানুষ টিসিবির কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য তুলতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে টোকনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে যাকে ইচ্ছা তাকে টোকন দেওয়া যায়। যাদের নামে টিসিবির কার্ড নেই, মূলত তাদেরকেই টোকন দেওয়া হয়েছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা। একজন ব্যক্তিকে চার-পাঁচটা কার্ডের পণ্য তুলতে দেখা গেছে। এমন অসংখ্য ব্যক্তি একাধিক কার্ডের পণ্য তুলেছেন। এতে কার্ডের সুষম বণ্টন হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, ‘যে টোকেন জমা দিচ্ছে, তাকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। আমার মাল বুঝ করে দেওয়ার দায়িত্ব। ইউনিয়নের ২ হাজার ২০৬ জনের টোকেন নিয়ে মাল দেওয়া হয়েছে।’

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি কেউ কেউ নাকি টোকেন পায়নি। যার যার ওয়ার্ডের টোকেন, সেই ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে বুঝ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা শতভাগ পণ্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, ‘টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা যদি পণ্য না পায়, তাহলে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টিসিবির কার্ড নিয়ে কোনোরকম অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’