ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি-কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুরহুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কাবিখার বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঝিনাইদহ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পায়। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ এ দুই অর্থবছরের বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের T.R (টেস্ট রিলিপ) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন সহায়তা খাতের জন্য ৪টি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে এই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রামের কবরস্থানে প্রাচীর নির্মাণকাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কিন্তু কোনো প্রকার কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই চিত্র ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বয়রা গ্রামের মাঠ হতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিলে প্রায় ৬ লাখ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদে মোটরসাইকেল পার্কিং স্থাপনা কাজের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে T.R (টেস্ট রিলিপ) প্রকল্প এর আওতায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও তিনি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের E.G.P কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৬০ জন শ্রমিকের নিকট থেকে জোরপূর্বক ২ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঝিনাইদহ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করলে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পায় দুদক। দুদকের অভিযানের পর নিজেকে বাঁচাতে ২২ ফেব্রুয়ারি কৌশলে ইউপি পরিষদে মোটরসাইকেল পার্কিং স্থাপনার কাজটি শুরু করেছেন তিনি। যেটি এখনো চলমান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শিবনগর গ্রামের কবরস্থানে প্রাচীর নির্মাণ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বয়রা গ্রামের মাঠ হতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চেয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এসএসএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। এসময় তিনি এসএমএস দেখেও কোনো উত্তর দেননি।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুরহুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কাবিখার বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঝিনাইদহ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পায়। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ এ দুই অর্থবছরের বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের T.R (টেস্ট রিলিপ) প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন সহায়তা খাতের জন্য ৪টি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে এই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রামের কবরস্থানে প্রাচীর নির্মাণকাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কিন্তু কোনো প্রকার কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই চিত্র ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বয়রা গ্রামের মাঠ হতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিলে প্রায় ৬ লাখ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদে মোটরসাইকেল পার্কিং স্থাপনা কাজের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে T.R (টেস্ট রিলিপ) প্রকল্প এর আওতায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও তিনি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের E.G.P কর্মসৃজন প্রকল্পে ১৬০ জন শ্রমিকের নিকট থেকে জোরপূর্বক ২ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা) ঝিনাইদহ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করলে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পায় দুদক। দুদকের অভিযানের পর নিজেকে বাঁচাতে ২২ ফেব্রুয়ারি কৌশলে ইউপি পরিষদে মোটরসাইকেল পার্কিং স্থাপনার কাজটি শুরু করেছেন তিনি। যেটি এখনো চলমান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শিবনগর গ্রামের কবরস্থানে প্রাচীর নির্মাণ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বয়রা গ্রামের মাঠ হতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর গ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চেয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এসএসএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। এসময় তিনি এসএমএস দেখেও কোনো উত্তর দেননি।