টেস্টে ফেল করলে এসএসসি দিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা-জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ
- আপলোড টাইম : ০৫:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৭
- / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
চুুয়াডাঙ্গা ভি.জে.সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক
টেস্টে ফেল করলে এসএসসি দিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুুয়াডাঙ্গা ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষার ফলাফল উপলক্ষ্যে দশম শ্রেণির এসএসসি পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভি. জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন উজ্জলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই বয়সীরাই সব চেয়ে বেশি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে মাদক সেবনের জন্য আর ঘরের বাইরে যেতে হয়না, মাদক তাদের কাছে চলে আসে। এরা ইয়াবার নেশায় আসক্ত লক্ষ্য রাখুন। রাতে ইয়াবা সেবন করে, সরারাত পড়ার টেবিলে কাটায় আর সারাদিন ঘুমায়- এদের প্রতি সন্দেহ আছে। পারিবারিক ভাবেই সন্তানদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি পরীক্ষায় (টেস্টে) যারা উত্তীর্ণ হবে না তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। টেস্টে ফেল, এসএসসিতে নিশ্চিত ফেল জেনেও তাদেরকে পরীক্ষাল হলে পাঠানোর দরকার নাই। তার থেকে ভালো পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। এতে ওই শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়, জেলা, বোর্ড, বিভাগ তথা দেশের জন্য মঙ্গল হবে। তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যার পর কোন স্কুল/কলেজ শিক্ষার্থী প্রয়োজন ব্যতীত অভিভাবক ছাড়া বাড়ির বাহিরে যেতে পারবে না। যদি এমন কাউকে শহরের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘সেদিন রাতে আমি তার খাওয়া/থাকার ব্যবস্থা করবো’। তাই সন্ধ্যার পর আপনার সন্তানকে বাড়িতে থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। অভিভাবকদের প্রতি প্রধান অতিথি বলেন, সম্প্রতি সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু স্কুল/কলেজগামী তরুণী মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুল/কলেজে না গিয়ে পার্কে গিয়ে ক্লাস করছে। যাদের সকলেই বোরকা পরিহিত। তবে সে তার মা যে উদ্দেশ্যে বোরকা পরে, ওই মেয়ে সেই কারণে বোরকা পরেনি। বাড়ি থেকে ব্যাগের মধ্যে বোরকা নিয়ে স্কুল ড্রেস পরে বের হয়। পরে অন্য কোথাও গিয়ে সে তার অপকর্ম আড়াল করতে বোরকা পরে। তাই মেয়েদের প্রতিও নজর দিন। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চুুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজামউদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা কম হওয়ায় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকাসক্তির দিকে পা বাড়াচ্ছে স্কুল/কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। আপনার সন্তান কার সাথে ঘুরছে, কোথায় থাকছে, কী করছে, আপনার দেওয়া টাকা কোথায় খরচ করছে, ঠিকমত স্কুল/কলেজে যাচ্ছে কী না লক্ষ্য রাখুন। সন্তানেরা স্কুল/কলেজে না গিয়ে কী করছে খোঁজ নিন। নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আর যদি সে বিপথগামী হয়ে যায় তবে পুলিশকে জানান। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে সমাজে একটি বিরাট আকার ধারণ করেছে, যা অপরাধ। তাই সমাজ থেকেই এই অপরাধ মোকাবেলা করতে হবে। ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দাশ। আরো উপস্থিত ছিলেন চুুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার জোয়ার্দ্দার, সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা ফেরদৌস আরা, শফিকুন নাহার, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক হাফিজুর রহমান, আবদুস সামাদসহ বিদ্যালয়ের দুই শিফটের সকল সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা, দশম শ্রেণির ছাত্রদের অভিভাবকবৃন্দ। ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র সাইফ সামিউল্লাহ ও হাসানুজ্জামান। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেফাউল হক ও নাসরিন কবির রুবি।