ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদক কমিশনারের আকস্মিক পরিদর্শন : রোগীদের ভোগান্তি, ডাক্তার না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর  কমিশনার এএফএম  আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিক কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকা, রোগীদের ঠিক মতো চিকিৎসা না দেওয়া, ডাক্তার হাসপাতালে না আসলেও মাসিক বেতন উত্তোলন, মাসের পর মাস হাসপাতাল ফেলে নিয়ে অন্য স্থানে কাজ করা, ছুটি না নিয়ে ছুটি ভোগ করা, বাইরের মানুষ দিয়ে টাকার বিনিময়ে আয়ার কাজ করা, রোগীদের নি¤œ মানের খাবার পরিবেশনসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ উঠে। সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর  কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপরোক্ত অভিযোগ গুলোর সত্যতা পেয়েছেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো: আবুল হাসান,  ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা, কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্্েরট যাদব সরকার প্রমুখ।
দুদকের কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের হাজিরা খাতা পরিদর্শন করে দেখতে পান  চিকিৎসক পোষ্টিং থাকলেও তারা হাসপাতালে  নেই। এমনকি  হাজিরা খাতাই স্বাক্ষর নেই। ছুটির আবেদন না করেই কয়েকজন চিকিৎসক ছুটি ভোগ করছেন। হাপসাতালে রোগীদের ঠিক মতো দেখতে যান না চিকিৎসকরা। নার্সরাও ঠিক মতো রোগীদের সেবা দেন না। তিনি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। হাসপাতালে এক্সরে মেশিন থাকলেও এক্সরে করানো হয় না। ডাক্তারা বাইরের প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক থেকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বলেন বলে রোগীরা অভিযোগ করেন দুদকের এই কর্তার কাছে।
দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ড. মো: আবুল হাসান জানান,  যে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তার বিষয়ে দুদকের কমিশনার এএফ এম আমিনুল ইসলাম ঢাকায়  ফিরে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  বিভাগীয় ব্যবস্থা  গ্রহনের সুপারিশ করবেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, অভিযোগের সত্যতা আমিও পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদক কমিশনারের আকস্মিক পরিদর্শন : রোগীদের ভোগান্তি, ডাক্তার না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

আপলোড টাইম : ০৭:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর  কমিশনার এএফএম  আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিক কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকা, রোগীদের ঠিক মতো চিকিৎসা না দেওয়া, ডাক্তার হাসপাতালে না আসলেও মাসিক বেতন উত্তোলন, মাসের পর মাস হাসপাতাল ফেলে নিয়ে অন্য স্থানে কাজ করা, ছুটি না নিয়ে ছুটি ভোগ করা, বাইরের মানুষ দিয়ে টাকার বিনিময়ে আয়ার কাজ করা, রোগীদের নি¤œ মানের খাবার পরিবেশনসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ উঠে। সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর  কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপরোক্ত অভিযোগ গুলোর সত্যতা পেয়েছেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো: আবুল হাসান,  ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা, কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্্েরট যাদব সরকার প্রমুখ।
দুদকের কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের হাজিরা খাতা পরিদর্শন করে দেখতে পান  চিকিৎসক পোষ্টিং থাকলেও তারা হাসপাতালে  নেই। এমনকি  হাজিরা খাতাই স্বাক্ষর নেই। ছুটির আবেদন না করেই কয়েকজন চিকিৎসক ছুটি ভোগ করছেন। হাপসাতালে রোগীদের ঠিক মতো দেখতে যান না চিকিৎসকরা। নার্সরাও ঠিক মতো রোগীদের সেবা দেন না। তিনি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন। হাসপাতালে এক্সরে মেশিন থাকলেও এক্সরে করানো হয় না। ডাক্তারা বাইরের প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক থেকে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বলেন বলে রোগীরা অভিযোগ করেন দুদকের এই কর্তার কাছে।
দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ড. মো: আবুল হাসান জানান,  যে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তার বিষয়ে দুদকের কমিশনার এএফ এম আমিনুল ইসলাম ঢাকায়  ফিরে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  বিভাগীয় ব্যবস্থা  গ্রহনের সুপারিশ করবেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, অভিযোগের সত্যতা আমিও পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।