ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা এলাকাবাসী দুঃখ ৫ কিলোমিটার রাস্তা : এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে অচিরেই পাকা রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন এমপি টগর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

এমএ মামুন: দামুড়হুদা উপজেলার অনগ্রসর এলাকা হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রাম। বৃহৎ এই দুটি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দুঃখ মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই হাতিভাঙ্গা-টু-ছাতিয়ানতলার রাস্তাটি হাটু সমান কাদাজলে কাদা সমুদ্রে পরিণত হয়। এসময় গ্রামবাসীরা চলাচল করতে যেমন কষ্ট পায় তেমনী তাদেরকে মাঠের ফসল তুলতেও অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। রাস্তাটি দীর্ঘদিন নির্মাণ না হওয়ায় জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ করে রাতে বা দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হলে বা কেউ মরণাপন্ন হলে তাকে হাসপাতালে নিতে কেউ গাড়ী বা যানবাহণ বের করতে চায় না। তখন মনে হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামটি যেন বিচ্ছিন্ন একটি জনপদ।
গতকাল সরজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামে যেয়ে গ্রামের মানুষের সাথে কথা বললে গ্রামবাসীরা উল্লেখিত সমস্যার কথা তুলে ধরে। হাতিভাঙ্গা গ্রামের শামসুল হক, বাক্কা, আনছার, আলী আহম্মদ, কবীর, পাপিয়া, নাছিমা ও ফিরোজা খাতুন তাদের দুঃখ কষ্টের বর্ণনা দিতে যেয়ে বললেন, জন প্রতিনিধি এমপি হাজী আলী আজগার টগর ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের এই ৫কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে দেবেন। কিন্তু তিনি দুই দুইবার সংসদ সদস্য হলেও এলাকার দীর্ঘ দিনের দুঃখ মাত্র ৫কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ১০বছরেও তিনি নির্মাণ করে দেননি। গ্রামবাসীরা জনপ্রতিনিধিদের দোষারোপ করে আরো বলেন, ভোটের সময় আসলেই সকলেই বড় বড় কথা বলে, অথচ ভোট চলে গেলে গ্রামের মানুষের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় তা ভুলে যায়। গ্রামবাসীরা বলেন, দেশ স্বাধীনের আজ প্রায় ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলার মানুষ আগেও যে কষ্টে ছিলো এখনও সেই দুর্ভোগ নিয়ে বসবাস করছে।
তবে, হাতিভাঙ্গা- ছাতিয়ানতলা গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ ৫ কিলো মিটার সড়ক কেন নির্মাণ হচ্ছে না  দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে করা এমন প্রশ্নের উত্তরে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের সংসদ সদস্য  হাজী আলী আজগার টগর বলেন,হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অচিরেই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হবে এবং খুব শিঘ্রই তিনি এলাকা পরিদর্শনে যাবেন ।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা সড়কটি নির্মাণ হলে চুয়াডাঙ্গা-ও মেহেরপুর জেলার মধ্যে আরো একটা সংযোগ সড়ক তৈরী হবে। এতে করে হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা সড়কের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া  এক সময়কার প্রমত্তা ভৈরব নদীতে নির্মাণ করতে হবে  কার্পাসডাঙ্গা-কোমরপুর ভৈরব নদীর ব্রিজের মত একটি ব্রিজ। এই সড়ক ও ব্রিজ নির্মান করা হলেই গ্রাম দুটির উত্তর-পশ্চিম দিকের কানাইডাঙ্গা, হোগোলডাঙ্গা, হেমায়েতপুর,কালিয়াবকরী-নতিপোতা, চারুলিয়া ও দুলালনগর গ্রাম এবং মেহেরপুর জেলার মহাজনপুর ও কোমরপুর হয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার সাথে যোগাযোগের এক নতুন দ্বার খুলে যাবে। সেই সাথে এতদঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করণেও খুলে যাবে নব দুয়ার এবং গ্রামীন অর্থনীতিকে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা এলাকাবাসী দুঃখ ৫ কিলোমিটার রাস্তা : এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে অচিরেই পাকা রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন এমপি টগর

আপলোড টাইম : ০৬:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০১৭

এমএ মামুন: দামুড়হুদা উপজেলার অনগ্রসর এলাকা হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রাম। বৃহৎ এই দুটি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দুঃখ মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই হাতিভাঙ্গা-টু-ছাতিয়ানতলার রাস্তাটি হাটু সমান কাদাজলে কাদা সমুদ্রে পরিণত হয়। এসময় গ্রামবাসীরা চলাচল করতে যেমন কষ্ট পায় তেমনী তাদেরকে মাঠের ফসল তুলতেও অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। রাস্তাটি দীর্ঘদিন নির্মাণ না হওয়ায় জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ করে রাতে বা দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হলে বা কেউ মরণাপন্ন হলে তাকে হাসপাতালে নিতে কেউ গাড়ী বা যানবাহণ বের করতে চায় না। তখন মনে হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামটি যেন বিচ্ছিন্ন একটি জনপদ।
গতকাল সরজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামে যেয়ে গ্রামের মানুষের সাথে কথা বললে গ্রামবাসীরা উল্লেখিত সমস্যার কথা তুলে ধরে। হাতিভাঙ্গা গ্রামের শামসুল হক, বাক্কা, আনছার, আলী আহম্মদ, কবীর, পাপিয়া, নাছিমা ও ফিরোজা খাতুন তাদের দুঃখ কষ্টের বর্ণনা দিতে যেয়ে বললেন, জন প্রতিনিধি এমপি হাজী আলী আজগার টগর ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের এই ৫কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে দেবেন। কিন্তু তিনি দুই দুইবার সংসদ সদস্য হলেও এলাকার দীর্ঘ দিনের দুঃখ মাত্র ৫কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ১০বছরেও তিনি নির্মাণ করে দেননি। গ্রামবাসীরা জনপ্রতিনিধিদের দোষারোপ করে আরো বলেন, ভোটের সময় আসলেই সকলেই বড় বড় কথা বলে, অথচ ভোট চলে গেলে গ্রামের মানুষের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় তা ভুলে যায়। গ্রামবাসীরা বলেন, দেশ স্বাধীনের আজ প্রায় ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলার মানুষ আগেও যে কষ্টে ছিলো এখনও সেই দুর্ভোগ নিয়ে বসবাস করছে।
তবে, হাতিভাঙ্গা- ছাতিয়ানতলা গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ ৫ কিলো মিটার সড়ক কেন নির্মাণ হচ্ছে না  দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে করা এমন প্রশ্নের উত্তরে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের সংসদ সদস্য  হাজী আলী আজগার টগর বলেন,হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা গ্রামের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অচিরেই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হবে এবং খুব শিঘ্রই তিনি এলাকা পরিদর্শনে যাবেন ।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা সড়কটি নির্মাণ হলে চুয়াডাঙ্গা-ও মেহেরপুর জেলার মধ্যে আরো একটা সংযোগ সড়ক তৈরী হবে। এতে করে হাতিভাঙ্গা-ছাতিয়ানতলা সড়কের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া  এক সময়কার প্রমত্তা ভৈরব নদীতে নির্মাণ করতে হবে  কার্পাসডাঙ্গা-কোমরপুর ভৈরব নদীর ব্রিজের মত একটি ব্রিজ। এই সড়ক ও ব্রিজ নির্মান করা হলেই গ্রাম দুটির উত্তর-পশ্চিম দিকের কানাইডাঙ্গা, হোগোলডাঙ্গা, হেমায়েতপুর,কালিয়াবকরী-নতিপোতা, চারুলিয়া ও দুলালনগর গ্রাম এবং মেহেরপুর জেলার মহাজনপুর ও কোমরপুর হয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর জেলার সাথে যোগাযোগের এক নতুন দ্বার খুলে যাবে। সেই সাথে এতদঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করণেও খুলে যাবে নব দুয়ার এবং গ্রামীন অর্থনীতিকে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা।