ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ভুলে ভরা প্রশ্ন : বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্ষোভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু
ভুলে ভরা প্রশ্ন : বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্ষোভ
জসিম/হাবিব: দামুড়হুদা উপজেলায় ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দামুড়হুদা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সাময়িক পরীক্ষার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম দিনের ইংরেজি পরীক্ষা। ১ম এবং ২য় শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নে পাওয়া যায় অসংখ্য ভুল। সিলেবাসের বাইরে থেকে দেয়া হয়েছে প্রশ্ন। ইংরেজি এ (ধ) এর আগের শব্দ লিখতে বলা হয়েছে। শিশুরা এরকম প্রশ্ন পেয়ে পড়ে বিভ্রান্তিতে। কিভাবে তারা উত্তর করবে তা বুঝতে পারেনি।
এছাড়াও ৩য় ও ৫ম শ্রেণীর প্রশ্নপত্রেও অসংখ্য ভুল পাওয়া গেছে। প্রশ্নে অসংখ্য ভুল থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ইংরেজি প্রশ্নে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ভূল রয়েছে। প্রথম শ্রেণির প্রশ্নে এ (ধ) এর আগের বর্ণ লিখতে বলা হয়েছে। মিসিং লেটার লিখতে বললেও কোন বর্ণ দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী আমরা পরীক্ষা গ্রহন করি করি। এতে আমাদের করার কিছুই নেই।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সভাপতি সাকী সালাম জানান, প্রশ্নপত্র ভুল কি সঠিক সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। প্রশ্ন প্রস্তুত করার জন্য একটা কমিটি আছে। ওই কমিটির সচিব সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম। আপনি তাঁর সাথে কথা বলুন।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চাই। তারপর উপজেলা শিক্ষা অফিস তা যাচাই বাছাই করে প্রশ্নপত্র প্রেসে ছাপতে দেন। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি হলে তা কারেকশন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। কিন্তু কেন এত ভুল হল তা বোধগম্য নয়। এতে করে আমরা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে বাধাগ্রস্থ হবো।
প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সচিব উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কি আর বলবো। আজ আর কিছু বলছিনা, কাল কথা বলবো।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা লক্ষ করা যায়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ভুলে ভরা প্রশ্ন : বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্ষোভ

আপলোড টাইম : ০৫:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০১৭

দামুড়হুদা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু
ভুলে ভরা প্রশ্ন : বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্ষোভ
জসিম/হাবিব: দামুড়হুদা উপজেলায় ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দামুড়হুদা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সাময়িক পরীক্ষার ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম দিনের ইংরেজি পরীক্ষা। ১ম এবং ২য় শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নে পাওয়া যায় অসংখ্য ভুল। সিলেবাসের বাইরে থেকে দেয়া হয়েছে প্রশ্ন। ইংরেজি এ (ধ) এর আগের শব্দ লিখতে বলা হয়েছে। শিশুরা এরকম প্রশ্ন পেয়ে পড়ে বিভ্রান্তিতে। কিভাবে তারা উত্তর করবে তা বুঝতে পারেনি।
এছাড়াও ৩য় ও ৫ম শ্রেণীর প্রশ্নপত্রেও অসংখ্য ভুল পাওয়া গেছে। প্রশ্নে অসংখ্য ভুল থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ইংরেজি প্রশ্নে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ভূল রয়েছে। প্রথম শ্রেণির প্রশ্নে এ (ধ) এর আগের বর্ণ লিখতে বলা হয়েছে। মিসিং লেটার লিখতে বললেও কোন বর্ণ দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী আমরা পরীক্ষা গ্রহন করি করি। এতে আমাদের করার কিছুই নেই।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সভাপতি সাকী সালাম জানান, প্রশ্নপত্র ভুল কি সঠিক সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। প্রশ্ন প্রস্তুত করার জন্য একটা কমিটি আছে। ওই কমিটির সচিব সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম। আপনি তাঁর সাথে কথা বলুন।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চাই। তারপর উপজেলা শিক্ষা অফিস তা যাচাই বাছাই করে প্রশ্নপত্র প্রেসে ছাপতে দেন। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি হলে তা কারেকশন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। কিন্তু কেন এত ভুল হল তা বোধগম্য নয়। এতে করে আমরা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে বাধাগ্রস্থ হবো।
প্রশ্ন প্রস্তুত কমিটির সচিব উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কি আর বলবো। আজ আর কিছু বলছিনা, কাল কথা বলবো।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অভিভাবক মহলে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা লক্ষ করা যায়নি।