ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ে স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পপি খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধু গলাই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চের্ষ্টা চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী পপি খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর বোয়ালমারী গ্রামের জাহান আলী শেখের ছেলে আহসানের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিন পাড়ার আসলামের মেয়ে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, পপিখাতুনের সাথে আহসানের দিঘ ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মারধর ব্যাতিত সব সময় কারণে অকারণে গালমন্দ করতো। এমন কি বাসার বাজারঘাট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীর জিনিসপাতি ঠিক মতো কিনতো না। পপি খাতুন এর প্রতিবাদ করলে তার স্বামী গালমন্দ করতো। এর মধ্যে গ্রাম্য মাতব্বর, মেম্বাররা মিমাংশা করলে ও স্বামী টুটুল কোন পরিবর্তন হয় নাই। এই বিষয় নিয়ে পপি খাতুন তার বাসায় বলে এবং সে এই স্বামীর সাথে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এই নিয়ে পরিবারের সাথে পপির বাকবন্দিতা হয়। এতে পপি খাতুন পরিবারের উপরে অভিমান করে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলাই ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালাই। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে পপিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ে স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৬:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পপি খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধু গলাই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চের্ষ্টা চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী পপি খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর বোয়ালমারী গ্রামের জাহান আলী শেখের ছেলে আহসানের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিন পাড়ার আসলামের মেয়ে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, পপিখাতুনের সাথে আহসানের দিঘ ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মারধর ব্যাতিত সব সময় কারণে অকারণে গালমন্দ করতো। এমন কি বাসার বাজারঘাট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীর জিনিসপাতি ঠিক মতো কিনতো না। পপি খাতুন এর প্রতিবাদ করলে তার স্বামী গালমন্দ করতো। এর মধ্যে গ্রাম্য মাতব্বর, মেম্বাররা মিমাংশা করলে ও স্বামী টুটুল কোন পরিবর্তন হয় নাই। এই বিষয় নিয়ে পপি খাতুন তার বাসায় বলে এবং সে এই স্বামীর সাথে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এই নিয়ে পরিবারের সাথে পপির বাকবন্দিতা হয়। এতে পপি খাতুন পরিবারের উপরে অভিমান করে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলাই ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালাই। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে পপিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।