দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দামুড়হুদার মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরী!
- আপলোড টাইম : ০৫:৫১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭
- / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ও একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরী মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরী দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। লাইব্রেরির নিয়মিত সদস্যরা বই পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। সমাজে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ থেকে প্রায় ৬১ বছর আগে বাংলা ১৩৬৩ সালে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলম মাষ্টারের পিতা মধুমন্ডলের নামানুসারে মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ জাঁকজমক ভাবে লাইব্রেরিটিতে এলাকার মানুষ সাহিত্যচর্চা করতে আসতো । কিন্তু কালের পরিক্রমায় লাইব্রেরিটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। দেখা গেলো তালা ঝুলানো লাইব্রেরির নিজস্ব বিল্ডিং এ বিভিন্ন আগাছা জন্ম নিয়েছে। দেখভাল করার যেন কেউ নেই। দীর্ঘ দেড় যুগ কোন নির্বাচিত কমিটি না থাকায় বছরের পর বছর মোটা অংকের সরকারী বরাদ্দকৃত টাকা কোন খাতে ব্যায় করা হয় লাইব্রেরির সদস্যরা কেউই তা জানেন না। মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরির সর্বশেষ নির্বাচিত সেক্রেটারি সফিকুর রহমান(সফি) জানালেন এখন কোন কমিটি না থাকায় লাইব্রেরিটি মাসের পর মাস বন্ধ থাকে। আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ(জয়) বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কিশোর-যুবকদের মধ্যে নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হলে তাদেরকে লাইব্রেরিমুখী করতে হবে। শিক্ষার্থিদের মাঝেও পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম জরুরীভাবে চালু হওয়ার প্রয়োজন।
স্থানীয় কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বলেন, আমরা যারা সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত, তাদের নিয়োমিত পড়াশোনার জন্য মধুমন্ডল পাবলিক লাইব্রেরির মত এমন ঋদ্ধ লাইব্রেরি অনেক উপকারে আসতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে দীর্ঘদিন ধরে লাইব্রেরিটা বন্ধ রাখা হয়েছে।
সহকারি অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, আমার জানা মতে পাবলিক লাইব্রেরিটা ঐতিহ্যবাহী। লাইব্রেরি ওয়ার্কের সুযোগ থাকলে তো আমরা কলেজ শিক্ষকরা প্রতিদিন বিকেল বা সন্ধ্যায় গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতাম। রোডে আড্ডা না মেরে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে সময়টা ভালভাবে কাটাতাম। তাতে আমাদেরর পেশাগত দক্ষতাও বাড়তো। লাইব্রেরির ব্যাপারে জানতে চাইলে পদাধিকার বলে সভাপতির দায়ীত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান জানালেন, তিনি জানেন ই না এধরনের লাইব্রেরি দামুড়হুদায় আছে। এবং এর সভাপতি উনি নিজে। এব্যাপারে তিনি উদ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আবারো চালু করবেন।