ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

স্মরণের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম দোয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৬৯৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: দোয়া বা মোনাজাত অর্থ প্রার্থনা করা, মহান আল্লাহর কাছে কিছু কামনা করা। বিন¤্র দোয়ায় অন্তরের শুদ্ধি, পাপমোচন, কল্যাণ কামনার মতো বিষয়গুলো থাকে। মোনাজাতের সুন্নত পদ্ধতি হচ্ছে, প্রথমে দরূদ শরিফ ও ইস্তেগফার পাঠ করা এবং দরূদ শরিফ দিয়ে মোনাজাত শেষ করা। এ প্রসঙ্গে হজরত উমর (রা.) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত নবী করীম (সা.)-এর ওপর দরূদ পড়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত দোয়াসমূহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে লটকে থাকে’ -তিরমিজি। আলেমরা বলেন, দোয়া হলো আল্লাহর স্মরণের একটি উত্তম মাধ্যম। এর দ্বারা আল্লাহতায়ালার সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক মজবুত হয় এবং অন্তরে আল্লাহর করুণা ও রহমত বর্ষিত হয়। এ কারণে বান্দা যত বেশি দোয়া করবে সে তত বেশি আল্লাহর প্রিয়পাত্র হবে। তবে দোয়ায় এমন কিছু চাওয়া ঠিক নয়, যা আল্লাহর নির্ধারিত নিয়মের বহির্ভূত। যেমন, গাছ রোপণ না করেই ফলের জন্য দোয়া করা। এ ধরনের দোয়া প্রাকৃতিক নিয়মবহির্ভূত। কাজেই তা কবুল হওয়ার আশা রাখা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। দোয়া এক প্রকার ইবাদত। আর ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত হচ্ছে হারাম থেকে দূরে থাকা। অনুরূপভাবে দোয়া কবুলের জন্যও শর্ত হচ্ছে হারাম ভক্ষণ না করা। এ ছাড়া যেসব দোয়ায় বান্দার কল্যাণ থাকে না সেসব দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না। বিজ্ঞ আলেমদের মতে, কঠোর, নির্মম, নির্দয় ও নিষ্ঠুরদের দোয়া আল্লাহর নিকট কবুল হয় না। এ প্রকৃতির মানুষ অহংকারী হয়ে থাকে। ইখলাসের সঙ্গে তারা আল্লাহকে ডাকে না। এ প্রসঙ্গে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘জালেমদের কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই’ -সূরা আশ শুরা: ৮। নবী করীম (সা.) উম্মতকে সব বিষয়ের দোয়া শিখিয়েছেন। এমন কিছু ছোট ছোট দোয়া আছে, যা আমল করলে অনেক ফায়দা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে একশ’বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে তার সব (সগিরা) গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয় -সহিহ বোখারি। এমন অনেক ছোট ছোট দোয়ার আমল রয়েছে, যেগুলো খুবই ফজিলতপূর্ণ। চলতে-ফিরতে সব অবস্থায় আমরা এসব ছোট ছোট দোয়ার আমল করতে পারি। বেশি বেশি এসব দোয়া পাঠের মাধ্যমে আমাদের উচিত আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়ার চেষ্টা করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

স্মরণের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম দোয়া

আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: দোয়া বা মোনাজাত অর্থ প্রার্থনা করা, মহান আল্লাহর কাছে কিছু কামনা করা। বিন¤্র দোয়ায় অন্তরের শুদ্ধি, পাপমোচন, কল্যাণ কামনার মতো বিষয়গুলো থাকে। মোনাজাতের সুন্নত পদ্ধতি হচ্ছে, প্রথমে দরূদ শরিফ ও ইস্তেগফার পাঠ করা এবং দরূদ শরিফ দিয়ে মোনাজাত শেষ করা। এ প্রসঙ্গে হজরত উমর (রা.) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত নবী করীম (সা.)-এর ওপর দরূদ পড়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত দোয়াসমূহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে লটকে থাকে’ -তিরমিজি। আলেমরা বলেন, দোয়া হলো আল্লাহর স্মরণের একটি উত্তম মাধ্যম। এর দ্বারা আল্লাহতায়ালার সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক মজবুত হয় এবং অন্তরে আল্লাহর করুণা ও রহমত বর্ষিত হয়। এ কারণে বান্দা যত বেশি দোয়া করবে সে তত বেশি আল্লাহর প্রিয়পাত্র হবে। তবে দোয়ায় এমন কিছু চাওয়া ঠিক নয়, যা আল্লাহর নির্ধারিত নিয়মের বহির্ভূত। যেমন, গাছ রোপণ না করেই ফলের জন্য দোয়া করা। এ ধরনের দোয়া প্রাকৃতিক নিয়মবহির্ভূত। কাজেই তা কবুল হওয়ার আশা রাখা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। দোয়া এক প্রকার ইবাদত। আর ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত হচ্ছে হারাম থেকে দূরে থাকা। অনুরূপভাবে দোয়া কবুলের জন্যও শর্ত হচ্ছে হারাম ভক্ষণ না করা। এ ছাড়া যেসব দোয়ায় বান্দার কল্যাণ থাকে না সেসব দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না। বিজ্ঞ আলেমদের মতে, কঠোর, নির্মম, নির্দয় ও নিষ্ঠুরদের দোয়া আল্লাহর নিকট কবুল হয় না। এ প্রকৃতির মানুষ অহংকারী হয়ে থাকে। ইখলাসের সঙ্গে তারা আল্লাহকে ডাকে না। এ প্রসঙ্গে কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘জালেমদের কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই’ -সূরা আশ শুরা: ৮। নবী করীম (সা.) উম্মতকে সব বিষয়ের দোয়া শিখিয়েছেন। এমন কিছু ছোট ছোট দোয়া আছে, যা আমল করলে অনেক ফায়দা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে একশ’বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে তার সব (সগিরা) গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয় -সহিহ বোখারি। এমন অনেক ছোট ছোট দোয়ার আমল রয়েছে, যেগুলো খুবই ফজিলতপূর্ণ। চলতে-ফিরতে সব অবস্থায় আমরা এসব ছোট ছোট দোয়ার আমল করতে পারি। বেশি বেশি এসব দোয়া পাঠের মাধ্যমে আমাদের উচিত আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়ার চেষ্টা করা।