ছেলে কিম্বা মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়সের হলেও সমস্যা নেই : গভীর রাতে গোপনে বিয়ে দিবেন স্বাধীন কাজী!
- আপলোড টাইম : ০৪:৩৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭
- / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: বাল্য বিবাহকে না বলি। বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড দেখায়। বাল্য বিবাহ অভিশপ্ত জীবন। যা একটি নিষ্পাপ ফুলের মতো জীবনকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দেয়। বাল্য বিবাহর প্রতি সরকার এতো কঠোর করার পরেও আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে গোপনে এলাকার চৌকিদার, সমাজের মাতব্বরের সহযোগিতা নিয়ে অসাধু কাজী অর্থের বিনিময়ে গভীর রাতে একের পর এক বাল্য বিবাহ পড়াচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে দু’মাসের ব্যবধানে নজরুল ইসলাম নজুর ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে হিরা খাতুন (১৪) রাহাতুল্লর মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৫) ও সামুর মেয়ে এবং মানিক চাঁদের ছেলে আইনুদ্দীনকে রাতের আধারে বাল্য বিয়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যে, এই সমস্ত বাল্য বিবাহ এলাকার স্বাধীন কাজী রাত ১২টার দিকে তার নিজ বাড়িতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিবাহ দিয়ে থাকে। স্বাধীন কাজী ওই সমস্ত অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েদের বিয়ের রেজিস্ট্রার খাতায় নামমাত্র স্বাক্ষর নিয়ে বিবাহ দিয়ে থাকে। ছেলে মেয়ের বয়স পূর্ণ হলে তখন ওই সমস্ত ফাঁকা রেজিস্ট্রার ভলিউম খাতায় লেখালেখী সম্পন্ন করে।
এলাকাবাসীরা আরও জানায়, স্বাধীন কাজী নিজেই কলমা পড়িয়ে বিয়ে পড়ান। এক স্বাধীন আর কত পেশা হিসাবে কাজ করবে, যেমন সে ছাদেমান নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ধর্মীয় শিক্ষক, এলাকায় আমিন হিসাবেও পরিচিত, আবার কাজী, মাঝে মধ্যে দেখা যায়, কোন না কোন মসজিদের ঈমামমতিও করেন। এক স্বাধীনকে সরকার কত পেশা হিসাবে নিয়োগ দেবে।
এই বিষয়ে স্বাধীন কাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই সমস্ত বাল্য বিবাহকে কোন রকমেই সাপোর্ট করি না। বিবাহ পড়ানো তো দুরের কথা। তবে পাঁচমাইল এলাকার হাসিবুল নামে এক ঈমাম আছে সে হয়তো এই সমস্ত বিবাহগুলো পড়াতে পারে। তবে হাসিবুলের বাড়িতে কিছুদিন আগে একটা বিয়ে হয়েছে। এলাকাবাসী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।