চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরী নেয়া তিন পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা
- আপলোড টাইম : ০৪:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
এম এ মামুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশ কনেস্টেবল পদে চাকুরী নেওয়ার অপরাধে এক মহিলা কনেস্টেবলসহ তিন কনস্টেবলের নামে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বড় বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিতে দামুড়হুদা উপজেলার বড় বরদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাছিমা খাতুন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় মহিলা কনেস্টেবল পদে চাকুরী গ্রহণ করে। অপরদিকে ২০১৪ সালের নিয়োগ বিধিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় চাকুরি গ্রহণ করে দীর্ঘদিন চাকুরী করছে। গোপন সূত্রে বিষয়টি পুলিশের গোচুরীভূত হয়।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে এই তিন পুলিশ কনেস্টেবলের বিষয়ে কয়েক মাস ধরে তদন্ত করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় পুলিশে চাকুরী নেওয়ার অপরাধে গত ২ আগষ্ট চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসার এসআই শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উল্লেখিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য নামধারী পুলিশ কনেস্টেবল নাছিমা খাতুন, রবিউল ইসলাম এবং জাহাঙ্গীর আলমের নামে বাংলাদেশ দন্ডবিধি’র ৪৬৫/৬৭/৭১/৪০৬/৪২০ ধারায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পত্র প্রেরণ করেছে।