কার্পাসডাঙ্গায় বাজারে হাটের দিনে অশ্লীল গানের সাথে ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রিতে ব্যস্ত হকার : প্রতিকার কামনা
- আপলোড টাইম : ০৫:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০১৭
- / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহি কার্পাসডাঙ্গা বাজারে প্রত্যেক সপ্তাহে দুটি হাট বসে। সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার
এই হাটের দিন। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নসহ আশপাশ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটাতে এই হাট কয়েকযুগ ধরে বসছে। অথচ এই ঐতিহ্যবাহি হাটে অশ্লীল গান বাজিয়ে দিনের পর দিন বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি কার্পাসডাঙ্গা বাজারে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অবস্থিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে প্রতিনিয়ত বসছে হকার। এসময় হকাররা তাদের সাথে থাকা ছোট মাইকে অশ্লীল গান বাজিয়ে বিক্রি করছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট।
কোমলমতি শিশু ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত এই গান শুনে অভ্যাস্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে তাদের মানসিক অবস্থা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। বেশী খাজনা আাদায়ের জন্যে কার্পাসডাঙ্গা হাট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধর ম্যুরালের সামনে চলছে অশ্লীল গান বাজিয়ে এই ধরণের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি সবাইকে হতবাক করে বৈকি?
এবিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে গেলে প্রভাবশালী হাট-ইজারাদারদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের এক নেতা বলেন, চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালের অবমাননা দেখেও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছি না। কেননা ইজারাদার অনেক প্রভাবশালী।
এছাড়া কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের কার্যালয়ের সামনেও হকার মজমা বসিয়ে বিভিন্ন গাছ-গাছালির ওষধসহ অশ্লীল গানের সাথে এই যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাট-ইজারাদার আ.লীগ নেতা সালাম বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালের সামনে এবং পার্টি অফিসের সামনে এই ধরনের হকার বসতে দেওয়া হয় না। তাছাড়া আমরা কারো কাছ থেকে বেশি খাজনা আদায়ও করি না। এই প্রতিবেদক আমাদের কাছে তথ্য প্রমান ও ছবি আছে জানালে, সালাম বিশ্বাস তখন বলেন, এখন থেকে আর এধরনের ঘটনা ঘটবে না।
অশালীন কর্মকা- বন্ধে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকসহ র জিয়াউদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারন এলাকাবাসী।