বিজ্ঞানচর্চা ও ইসলাম
- আপলোড টাইম : ০৬:৪৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭
- / ১৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: আজ মানুষ এতটাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে যে, এ ছাড়া যেন আধুনিক সভ্যতা অচল! বাস্তব জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমরা বিজ্ঞানের কাছে ঋণী। এক সময় যা ছিল কল্পনাতীত তাকে আজ বিজ্ঞান করে দিয়েছে ধ্রুব সত্য। মূলত ¯্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য উšে§াচনের জন্য সুশৃঙ্খল পরীক্ষিত জ্ঞানই বিজ্ঞান। আল কোরানে বিজ্ঞান কথাটির সমার্থক বলতে হিকমাহকে বোঝায়। কোরানে কারিমে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য অসংখ্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মহান পরওয়ারদিগারে আলম যাকে ইচ্ছা বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান দান করেন এবং যাকে হিকমত বা বিজ্ঞান দান করা হয়েছে তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান।’ ইসলামে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য জ্ঞান চর্চা করা বা জ্ঞান অন্বেষণ করা সব মানুষের জন্য অপরিহার্য। পৃথিবীতে যারা মহান বা সফল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তারা সবাই জ্ঞানের ক্ষেত্রে ছিলেন শ্রেষ্ঠ। পৃথিবীতে কেউ মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েই বিজ্ঞানী হয়ে যাননি। বরং তারা জ্ঞান চর্চা বা সাধনা করতে করতেই একদিন এ খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। পৃথিবীতে যত আবিষ্কার রয়েছে যেমন কম্পিউটার, মোবাইল, রকেট, বিদ্যুৎ এসবই বিজ্ঞানের অবদান। এগুলো বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ দিনের সাধনার ফসল। বিজ্ঞান মানুষকে এনে দিয়েছে অফুরন্ত শক্তি। এ শক্তি সম্পূর্ণ মানুষ নিয়ন্ত্রিত। মানুষ ইচ্ছা করলে এটাকে কলাণে ব্যবহার করতে পারে আবার অকল্যাণেও ব্যবহার করতে পারে। এজন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিষফলের জন্য দায়ী মানুষেরা। বিজ্ঞানের চর্চা ও গবেষণাকে মানব কল্যাণে পরিচালিত করা মানুষের দায়িত্ব। এ থেকে বিরত না থাকলে যে ধ্বংস আসবে তা নিজেদের ওপরই আসবে। বিজ্ঞানের সফল প্রয়োগের ওপর নির্ভর করে বিশ্ব শান্তি। বিশ্বের ক্ষমতারধর ব্যক্তিবর্গ বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগের দ্বারা বিশ্ব শান্তির সেই স্বপ্নকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। শক্তির উš§াদনায় মত্ত হয়ে তারা সারা বিশ্বে^ চালাচ্ছে তা-ব। এদের হাত থেকে বিজ্ঞানের লাগামকে ছিনিয়ে এনে তা হস্তান্তর করতে হবে শান্তিকামী মানুষের কাছে। অপপ্রয়োগ থেকে বিরত থেকে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজে লাগালে বিজ্ঞান হবে মানব জাতির জন্য পরম সার্থক। এজন্য মুসলমানদের আরো বেশি এগিয়ে আসতে হবে বিজ্ঞানের দিকে। অবদান রাখতে হবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায়।