ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পুরো শহরজুড়ে ডিজিটাল এলইডি বাতি লাগাতে হবে -জেলা প্রশাসক : চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান সড়কে ডিজিটাল আলোর ঝলকানি : পৌরবাসীকে উজ্জল আলোয় আলোকিত করবো -মেয়র জিপু চৌধূরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর জুড়ে সিএফএল (এনার্জি সেভিং ল্যম্প) বাতির জায়গা এবার দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল এলইডি বাতি। শহরের বড়বাজার থেকে একাডেমী মোড় পর্যন্ত সড়কে সন্ধ্যায় জ্বলে উঠলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাতিগুলো। সিএফএল বাতির আলোয় দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু নতুন এ বাতির আলোয় এখন দূরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর থেকে শেষ হতে যাচ্ছে সিএফএল বাতির যুগ।
সরকারী অর্থায়নে নিজস্ব তত্বাবধানে ডিজিটাল বাতি স্থাপন করছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। আপাতত শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বর, বড়বাজার থেকে পৌর সভা মোড় হয়ে একাডেমী মোড় পর্যন্ত এই ডিজিটাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে এ ধরণের বাতি লাগানো হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভার সামনের একটি পোলে সুইচ টিপে ডিজিটাল এলইডি বাতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। উদ্বোধকদ্বয় সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরের প্রধান সড়কে লাগানো এলইডি বাতি জ্বলে ওঠে।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যায়ক্রমে শহরের সব এলাকায় এলইডি বাতি সংযোজন করতে হবে। এর ফলে শহরবাসী যেমন পর্যাপ্ত আলোয় স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন, তেমনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের পক্ষেও পথচারী ও গাড়ির আরোহীদের সহজে চেনা ও কোনও ঘটনার ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট ছবি দেখা সম্ভব হবে।
পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী বলেন, সড়কের সগক বাতি বদলে এলইডি বাতি লাগানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পৌর শহরের সব জায়গাই এ ধরণের বাতি লাগানো হবে। এতে পৌরবাসী উজ্জল আলোয় আলোকিত হবে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান কাওছার জানান, ডিজিটাল প্রতিটি বাতির স্থায়ীত্বকাল একলাখ ঘণ্টা। সিএফএল বাতির তুলনায় এটা দশগুণ বেশি। সিএফএল বাতির তুলনায় এ বাতি দ্রুত প্রজ্বলিত হয়। বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম হলেও এলইডি বাতি সঠিকভাবে জ্বলে।
এ ছাড়াও একটি সিএফএল বাতির বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ আসে প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এলইডি বাতির পেছনে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি ওয়াটে আলোর পরিমাণ ৫০ লুমেন। অন্যদিকে এলইডি বাতির আলোর পরিমাণ ১০০ লুমেন।
আরো জানা যায়, ডিজিটাল বাতি স্থাপন কাজের প্রথম পর্যায়ে ৯লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২০টি এলইডি বাতি লাগানো হচ্ছে।
ডিজিটাল এলইডি বাতির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এড. আশরাফ আলী বিশ্বাস, মুহাঃ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পৌর প্যানেল মেয়র-১ মো. একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর মুন্সি মোঃ রেজাউল করিম খোকন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুস সালেহীন লিটন, মোঃ আবুল হোসেন, মোছাঃ শাহিনা আক্তার রুবি, পৌর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান কাওছার, টিকাদান সুপারভাইজার আলী হোসেন, পৌর সড়কবাতি পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান, বিদ্যুৎ লাইনম্যান জিয়াউর রহমান।
এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের যগলু, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান খোকন, অধ্যক্ষ সেলিম, এসকেএন জয়েন্ট ভেঞ্চার চূযাডাঙ্গার লিড পার্টনার নুরুজ্জামান, সামাজিক প্রতিনিধি আক্তার হোসেন, আব্দুল খালেখ, ০৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন, এড. শফিউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য রাজ্জাক, এড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম পারভেজ সজল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপুসহ আরো অনেকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পুরো শহরজুড়ে ডিজিটাল এলইডি বাতি লাগাতে হবে -জেলা প্রশাসক : চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান সড়কে ডিজিটাল আলোর ঝলকানি : পৌরবাসীকে উজ্জল আলোয় আলোকিত করবো -মেয়র জিপু চৌধূরী

আপলোড টাইম : ০৬:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর জুড়ে সিএফএল (এনার্জি সেভিং ল্যম্প) বাতির জায়গা এবার দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল এলইডি বাতি। শহরের বড়বাজার থেকে একাডেমী মোড় পর্যন্ত সড়কে সন্ধ্যায় জ্বলে উঠলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাতিগুলো। সিএফএল বাতির আলোয় দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু নতুন এ বাতির আলোয় এখন দূরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর থেকে শেষ হতে যাচ্ছে সিএফএল বাতির যুগ।
সরকারী অর্থায়নে নিজস্ব তত্বাবধানে ডিজিটাল বাতি স্থাপন করছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। আপাতত শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বর, বড়বাজার থেকে পৌর সভা মোড় হয়ে একাডেমী মোড় পর্যন্ত এই ডিজিটাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে এ ধরণের বাতি লাগানো হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভার সামনের একটি পোলে সুইচ টিপে ডিজিটাল এলইডি বাতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। উদ্বোধকদ্বয় সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরের প্রধান সড়কে লাগানো এলইডি বাতি জ্বলে ওঠে।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যায়ক্রমে শহরের সব এলাকায় এলইডি বাতি সংযোজন করতে হবে। এর ফলে শহরবাসী যেমন পর্যাপ্ত আলোয় স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন, তেমনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের পক্ষেও পথচারী ও গাড়ির আরোহীদের সহজে চেনা ও কোনও ঘটনার ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট ছবি দেখা সম্ভব হবে।
পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী বলেন, সড়কের সগক বাতি বদলে এলইডি বাতি লাগানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পৌর শহরের সব জায়গাই এ ধরণের বাতি লাগানো হবে। এতে পৌরবাসী উজ্জল আলোয় আলোকিত হবে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান কাওছার জানান, ডিজিটাল প্রতিটি বাতির স্থায়ীত্বকাল একলাখ ঘণ্টা। সিএফএল বাতির তুলনায় এটা দশগুণ বেশি। সিএফএল বাতির তুলনায় এ বাতি দ্রুত প্রজ্বলিত হয়। বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম হলেও এলইডি বাতি সঠিকভাবে জ্বলে।
এ ছাড়াও একটি সিএফএল বাতির বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ আসে প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এলইডি বাতির পেছনে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি ওয়াটে আলোর পরিমাণ ৫০ লুমেন। অন্যদিকে এলইডি বাতির আলোর পরিমাণ ১০০ লুমেন।
আরো জানা যায়, ডিজিটাল বাতি স্থাপন কাজের প্রথম পর্যায়ে ৯লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২০টি এলইডি বাতি লাগানো হচ্ছে।
ডিজিটাল এলইডি বাতির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এড. আশরাফ আলী বিশ্বাস, মুহাঃ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পৌর প্যানেল মেয়র-১ মো. একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর মুন্সি মোঃ রেজাউল করিম খোকন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুস সালেহীন লিটন, মোঃ আবুল হোসেন, মোছাঃ শাহিনা আক্তার রুবি, পৌর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান কাওছার, টিকাদান সুপারভাইজার আলী হোসেন, পৌর সড়কবাতি পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান, বিদ্যুৎ লাইনম্যান জিয়াউর রহমান।
এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের যগলু, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান খোকন, অধ্যক্ষ সেলিম, এসকেএন জয়েন্ট ভেঞ্চার চূযাডাঙ্গার লিড পার্টনার নুরুজ্জামান, সামাজিক প্রতিনিধি আক্তার হোসেন, আব্দুল খালেখ, ০৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন, এড. শফিউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য রাজ্জাক, এড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম পারভেজ সজল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপুসহ আরো অনেকে।