ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

মহেশপুরের নাটিমা গ্রামে আসামী গ্রেফতারে গিয়েছিলেন কারা?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামে বুধবার রাতে সাদা পোশাকে একদল লোক পুলিশ পরিচয়ে আসামী ধরতে গেলে সেখানে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক পালিয়ে গেছে। তবে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মদ কবীর এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার সময় মহেশপুর থানার কোন পুলিশ সদস্য সেখানে যায়নি। হয়তো অন্য কোন বাহিনীর সদস্যরা যেতে পারে। এখন একাধিক গ্রামবাসির সামনে গুলি বর্ষন ও হ্যান্ডকাপ পরিহিত আসামী পলায়নের বিষয়টি পুলিশসহ দায়িত্বশীল মহল থেকে অস্বীকার করায় জনমনে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৮টার দিকে সাদা পোশাকে চারজন লোক নিজেদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নাটিমা বাজারে যায়। সেখানে তারা যুবদল নেতা শুকুর আলী ও আজাদসহ অন্যান্যদের খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে যুবদল নেতা শুকুর আলীর ভাই সাইফুলকে পেয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রামবাসি জড়ো হয়ে তাদের পরিচয় ও আটকের বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় গ্রামবাসির হৈচৈ এর মধ্যে সাইফুল হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। বেগতিক দেখে আসামী গ্রেফতার অভিযানে যাওয়া ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। পরে আরো কিছু সাদা পোশাকের লোক মোটরসাইকেলে নাটিমা বাজারে আসা সাদা পোশাকের লোকদের নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নাটিমা গ্রামের যুবদল নেতা শুকুর আলী জানান, রাজনীতি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকতে পারে। সেই মামলায় হয়তো তাদের ধরতে এসেছিলো। স্থানীয় গ্রামবাসির অভিযোগ সাইফুল নামে মহেশপুর থানার এক দারোগা সাদা পোশাকে নাটিমা গ্রামে এসেছিলেন। মহেশপুর থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম জানান, আমি মোটরসাইকেলে আছি। কাদা পানিতে কাহিল। মহেশপুরে এসে কথা বলছি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহাবার আলী শেখ ও কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মহেশপুরের নাটিমা গ্রামে আসামী গ্রেফতারে গিয়েছিলেন কারা?

আপলোড টাইম : ০৫:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামে বুধবার রাতে সাদা পোশাকে একদল লোক পুলিশ পরিচয়ে আসামী ধরতে গেলে সেখানে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক পালিয়ে গেছে। তবে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মদ কবীর এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার সময় মহেশপুর থানার কোন পুলিশ সদস্য সেখানে যায়নি। হয়তো অন্য কোন বাহিনীর সদস্যরা যেতে পারে। এখন একাধিক গ্রামবাসির সামনে গুলি বর্ষন ও হ্যান্ডকাপ পরিহিত আসামী পলায়নের বিষয়টি পুলিশসহ দায়িত্বশীল মহল থেকে অস্বীকার করায় জনমনে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৮টার দিকে সাদা পোশাকে চারজন লোক নিজেদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নাটিমা বাজারে যায়। সেখানে তারা যুবদল নেতা শুকুর আলী ও আজাদসহ অন্যান্যদের খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে যুবদল নেতা শুকুর আলীর ভাই সাইফুলকে পেয়ে তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। ইতোমধ্যে গ্রামবাসি জড়ো হয়ে তাদের পরিচয় ও আটকের বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় গ্রামবাসির হৈচৈ এর মধ্যে সাইফুল হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। বেগতিক দেখে আসামী গ্রেফতার অভিযানে যাওয়া ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। পরে আরো কিছু সাদা পোশাকের লোক মোটরসাইকেলে নাটিমা বাজারে আসা সাদা পোশাকের লোকদের নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নাটিমা গ্রামের যুবদল নেতা শুকুর আলী জানান, রাজনীতি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকতে পারে। সেই মামলায় হয়তো তাদের ধরতে এসেছিলো। স্থানীয় গ্রামবাসির অভিযোগ সাইফুল নামে মহেশপুর থানার এক দারোগা সাদা পোশাকে নাটিমা গ্রামে এসেছিলেন। মহেশপুর থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম জানান, আমি মোটরসাইকেলে আছি। কাদা পানিতে কাহিল। মহেশপুরে এসে কথা বলছি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহাবার আলী শেখ ও কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।