ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গায় ভাতাভোগীর টাকা আত্মসাত : অভিযোগ দায়ের : ইউএনও’র হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত পেলো তিন ভুক্তভোগী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের দুইজন প্রতিবন্ধি ও একজন বয়স্ক ভাতাভোগি তাদের ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আলী আকবরের মিয়ার ছেলে বজলু মেম্বার একই গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী মৃত সবেদ আলীর ছেলে বরকত আলী (৭৫) ও প্রতিবন্ধি মৃত তাইজাল আলীর মেয়ে শান্তি খাতুনের ৭ হাজার ২ শত টাকা করে ভাতার টাকার মধ্যে ৬ হাজার করে ১২ হাজার টাকা আত্বসাত করে। এবিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের কাছে অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলু মেম্বারকে গ্রেফতার করার কথা জানালে, বজলু মেম্বার দ্রুত আত্বসাতের ১২হাজার টাকা ফেরত দেয়। দ্রুত আত্বসাতের টাকা ফেরত দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলু মেম্বারকে এ দফা মাফ করে দেন। অন্যদিকে, আরমডাঙ্গা ফরিদপুর গ্রামের জুড়োন মালিথার ছেলে দাবারুল তার প্রতিবন্ধির ভাতার টাকা হাতে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করতে আসলে মহিলা মেম্বার সুফিয়া খাতুন তার টাকা উদ্ধার করে দেন। তাই দাবারুল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেননি বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশির ভাগ ভাতাভোগি তাদের ভাতার কার্ড ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের মেম্বার অথবা স্থানীয় অনেক নেতার কাছ থেকে খরিদ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহল মনে করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় ভাতাভোগীর টাকা আত্মসাত : অভিযোগ দায়ের : ইউএনও’র হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত পেলো তিন ভুক্তভোগী

আপলোড টাইম : ০৭:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের দুইজন প্রতিবন্ধি ও একজন বয়স্ক ভাতাভোগি তাদের ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আলী আকবরের মিয়ার ছেলে বজলু মেম্বার একই গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী মৃত সবেদ আলীর ছেলে বরকত আলী (৭৫) ও প্রতিবন্ধি মৃত তাইজাল আলীর মেয়ে শান্তি খাতুনের ৭ হাজার ২ শত টাকা করে ভাতার টাকার মধ্যে ৬ হাজার করে ১২ হাজার টাকা আত্বসাত করে। এবিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের কাছে অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলু মেম্বারকে গ্রেফতার করার কথা জানালে, বজলু মেম্বার দ্রুত আত্বসাতের ১২হাজার টাকা ফেরত দেয়। দ্রুত আত্বসাতের টাকা ফেরত দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলু মেম্বারকে এ দফা মাফ করে দেন। অন্যদিকে, আরমডাঙ্গা ফরিদপুর গ্রামের জুড়োন মালিথার ছেলে দাবারুল তার প্রতিবন্ধির ভাতার টাকা হাতে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করতে আসলে মহিলা মেম্বার সুফিয়া খাতুন তার টাকা উদ্ধার করে দেন। তাই দাবারুল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেননি বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশির ভাগ ভাতাভোগি তাদের ভাতার কার্ড ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের মেম্বার অথবা স্থানীয় অনেক নেতার কাছ থেকে খরিদ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহল মনে করে।