স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে পাড়ি ১০ কিলোমিটার
- আপলোড টাইম : ০১:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: আদিবাসী দানা মাঝির যক্ষ্মায় আক্রান্ত স্ত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের গ্রামে তার বাড়ি। কিন্তু হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স দিতে অপারগ। শেষে স্ত্রীর মরদেহ কাঁধে নিয়ে ৬০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের দিকে হাঁটতে শুরু করেন দানা মাঝি। সঙ্গে ১২ বছর বয়সী মেয়ে। ১০ কিলোমিটার যাওয়ার পর এক টেলিভিশনকর্মী এ দৃশ্য দেখে ফেলেন। তার চেষ্টায় ব্যবস্থা হয় অ্যাম্বুলেন্সের। গত মঙ্গলবার ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে এ ঘটনা ঘটে। এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার উড়িষ্যা ভুবনেশ্বরের কালাহান্দি এলাকার সরকারি হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগে চিকিৎসাধীন আমাং দেই মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গরিব দানা মাঝির স্ত্রীর মরদেহ বহনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেনি। পরে তিনি স্ত্রীর মরদেহ কাঁধে নিয়েই ৬০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের দিকে রওনা দেন। পাশে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটছিল তার মেয়ে। ১০ কিলোমিটার হাঁটার পর তার করুণ অবস্থা দেখে ফেলেন এক টেলিভিশনকর্মী। তার ফোন পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। ওই অ্যাম্বুলেন্সেই দানা মাঝি স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে গ্রামে যান। পরে প্রশাসনের সহায়তায় ওই মৃতদেহের শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়। ওই টেলিভিশনের এক সাংবাদিককে দানা মাঝি বলেন, ‘আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, আমি একজন গরিব মানুষ। গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্সের মরদেহ বহনের সামর্থ্য আমার নেই। আমি তাদের অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেননি।’ এই রাজ্যে চিকিৎসাসেবার বিষয়টি সহজ নয়। এ জন্য রাজ্যে সরকার এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘মহাপরায়ানা’ নামের একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় গরিবদের জন্য নিখরচায় সরকারি হাসপাতাল থেকে লাশ পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ জন্য ওই রাজ্যের ৩৭টি হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি দেয়া হয়েছে। কিন্তু দানা মাঝির কপাল খারাপ, তিনি ওই সেবা পাননি। ওই রাজ্যর ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের বিধায়ক কালিকেশ সিং দাও এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে স্থানীয় মন্ত্রীকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেছি এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’