ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

জীবননগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪৯৭ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জীবননগর জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার সাধারন গ্রাহকরা বিপাকে। মিটারের রিডিং কম বিল বেশি, ২০১২ সালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভয় দেখিয়ে জরিমানা আদায়, নতুন মিটার দেওয়ার নাম করে দালাল চক্র সদস্যদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ট্রান্সমিটারের ওভার লোড দিয়ে নষ্ট হলে গ্রাহকদের নিকট টাকা আদায়, ঘন ঘন লোডশেডিংসহ নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছে গ্রাহকেরা।
অথচ সমস্যা থেকে দুরে থাকার জন্য সাধারন জনগনকে সতর্ক করার লক্ষে কর্তৃপক্ষের মন ডিস ক্যাবলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সবার কাছে শুধু হাসির খোরাক হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক বকুল মিয়া বাড়িতে একটি বাল্প একটি টিভি চালান। অথচ মাস শেষে তার বিদ্যুৎ বিল ১হাজার ৭শত টাকা। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎতের এক কর্মীকে হেনস্থাও করে সাধারন গ্রামবাসী।
একই ইউনিয়নের কয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন অভিযোগ করে বলেন, সেচের জন্য আমরা পাঁচ হর্স পাওয়ারের একটি মোটর কিনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি পাঁচ হর্স পাওয়ারের ট্রান্সফার্মার নিই। গত এক বছর আগে ওই ট্রান্সফার্মার থেকে প্রতি গ্রাহকের নিকট ১৩ হাজার টাকা করে সংযোগ ফি নিয়ে ৫ জনকে সংযোগ দেওয়া হয়। অথচ মোটরে লোড পড়ে ট্রান্সফার্মার পুড়ে গেছে। অফিসে অভিযোগ করে কোন সমাধান পায়নি। আমার ট্রান্সফার্মায় অতিরিক্ত চারজনের সংযোগের বিষয়ে আপত্তি তুলেও লাভ হয়নি।
এ বিষয়টি সেচ গ্রাহক অফিসে যেয়ে জানালে অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, ট্রান্সফার্মার যেহেতু আপনার মোটরলাইন আছে, সে ক্ষেত্রে আপনাকেই টাকা দিয়ে সারতে হবে। ট্রান্সফার্মাররে অতিরিক্ত লাইন দেওয়া হয়েছে বলে এই ঘটনাটি ঘটেছে বললে এ বিষয়টি এজিএম সাহেব এড়িয়ে যান।
এদিকে গতকাল সোমবার সকালে সেচের ট্রান্সফার্মার থেকে ওই ৫ জন গ্রাহকের লাইন কেটে তপু নামের এক কর্মকর্তা অন্যলাইনের সাথে সংযোগ করে দিয়েছে ।
এ ব্যপারে জীবননগর জোনাল অফিসের এজিএমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যেহেতু আমি এখানে নতুন এসেছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি সেচের লাইনে কেভি খালি থাকে তা হলে অন্যগ্রাহকের সংযোগ দেওয়া যাবে। ট্রান্সফার্মার নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেচের ক্ষেত্রে যদি ট্রান্সফার্মার পুড়ে যায় বা নষ্ট হয় তা হলে সেচ গ্রাহকের টাকা দিয়ে মেরামত করতে হবে।
এ বিষয়ে ডিজিএমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যদি পাঁচ হর্স পাওয়ারের মটর ও পাঁচ কেভি বিদ্যুতের ট্রান্সফারর্মার হয়। তা হলে সেখানে সংযোগ দেওয়ার কথা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যদি ওই ট্রান্সফার্মে খালি থাকে,  সে ক্ষেত্রে অন্য সংযোগ দেওয়া যায়। কিন্তু সেচের ট্রান্সফার্মার নষ্ট হলে সেচের গ্রাহককে ট্রান্সফার্মার মেরামত করার জন্য খরচ বহন করতে হয়। পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনা আর অর্থের লোভে সাধারন গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা!

আপলোড টাইম : ০৬:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

জীবননগর অফিস: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জীবননগর জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার সাধারন গ্রাহকরা বিপাকে। মিটারের রিডিং কম বিল বেশি, ২০১২ সালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ভয় দেখিয়ে জরিমানা আদায়, নতুন মিটার দেওয়ার নাম করে দালাল চক্র সদস্যদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ট্রান্সমিটারের ওভার লোড দিয়ে নষ্ট হলে গ্রাহকদের নিকট টাকা আদায়, ঘন ঘন লোডশেডিংসহ নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছে গ্রাহকেরা।
অথচ সমস্যা থেকে দুরে থাকার জন্য সাধারন জনগনকে সতর্ক করার লক্ষে কর্তৃপক্ষের মন ডিস ক্যাবলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সবার কাছে শুধু হাসির খোরাক হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক বকুল মিয়া বাড়িতে একটি বাল্প একটি টিভি চালান। অথচ মাস শেষে তার বিদ্যুৎ বিল ১হাজার ৭শত টাকা। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎতের এক কর্মীকে হেনস্থাও করে সাধারন গ্রামবাসী।
একই ইউনিয়নের কয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন অভিযোগ করে বলেন, সেচের জন্য আমরা পাঁচ হর্স পাওয়ারের একটি মোটর কিনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি পাঁচ হর্স পাওয়ারের ট্রান্সফার্মার নিই। গত এক বছর আগে ওই ট্রান্সফার্মার থেকে প্রতি গ্রাহকের নিকট ১৩ হাজার টাকা করে সংযোগ ফি নিয়ে ৫ জনকে সংযোগ দেওয়া হয়। অথচ মোটরে লোড পড়ে ট্রান্সফার্মার পুড়ে গেছে। অফিসে অভিযোগ করে কোন সমাধান পায়নি। আমার ট্রান্সফার্মায় অতিরিক্ত চারজনের সংযোগের বিষয়ে আপত্তি তুলেও লাভ হয়নি।
এ বিষয়টি সেচ গ্রাহক অফিসে যেয়ে জানালে অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, ট্রান্সফার্মার যেহেতু আপনার মোটরলাইন আছে, সে ক্ষেত্রে আপনাকেই টাকা দিয়ে সারতে হবে। ট্রান্সফার্মাররে অতিরিক্ত লাইন দেওয়া হয়েছে বলে এই ঘটনাটি ঘটেছে বললে এ বিষয়টি এজিএম সাহেব এড়িয়ে যান।
এদিকে গতকাল সোমবার সকালে সেচের ট্রান্সফার্মার থেকে ওই ৫ জন গ্রাহকের লাইন কেটে তপু নামের এক কর্মকর্তা অন্যলাইনের সাথে সংযোগ করে দিয়েছে ।
এ ব্যপারে জীবননগর জোনাল অফিসের এজিএমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যেহেতু আমি এখানে নতুন এসেছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি সেচের লাইনে কেভি খালি থাকে তা হলে অন্যগ্রাহকের সংযোগ দেওয়া যাবে। ট্রান্সফার্মার নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেচের ক্ষেত্রে যদি ট্রান্সফার্মার পুড়ে যায় বা নষ্ট হয় তা হলে সেচ গ্রাহকের টাকা দিয়ে মেরামত করতে হবে।
এ বিষয়ে ডিজিএমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যদি পাঁচ হর্স পাওয়ারের মটর ও পাঁচ কেভি বিদ্যুতের ট্রান্সফারর্মার হয়। তা হলে সেখানে সংযোগ দেওয়ার কথা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যদি ওই ট্রান্সফার্মে খালি থাকে,  সে ক্ষেত্রে অন্য সংযোগ দেওয়া যায়। কিন্তু সেচের ট্রান্সফার্মার নষ্ট হলে সেচের গ্রাহককে ট্রান্সফার্মার মেরামত করার জন্য খরচ বহন করতে হয়। পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনা আর অর্থের লোভে সাধারন গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।