ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় প্রকৌশলীর ল্যাপটপ চুরি : গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারি রিপনসহ আটক ২ : দ্রুত ল্যাপটপ উদ্ধার করায় এসআই খালিদকে পুরষ্কার দিলেন এসপির নিজাম উদ্দীন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির সাথে জড়িত থাকা ওই অফিসের দুই কর্মচারিকেও আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গণপূর্ত বিভাগের প্রহরী আলুকদিয়া রাজাপুরের রিপনের বাড়ি থেকে ওই ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার থেকে গত রোববার পর্যন্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তার পরিবারসহ বাইরে অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর কোয়ার্টার থেকে তার ল্যাপটপ চুরি হয়। পরে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ কোয়ার্টারে ফিরে ল্যাপটপ না পেয়ে অফিসের প্লাম্বার সহকারি ও প্রহরী রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের কথাবার্তা অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় খবর দেয়া হয় পুলিশে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিসের প্লাম্বার সহকারি ও রিপনকে আটক করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা ল্যাপটপ চুরির কথা স্বীকার করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলুকদিয়া রাজাপুরের রিপনের বাড়ি থেকে দ্রুত ল্যাপটপটি উদ্ধার করেন এসআই খালিদ।
এবিষয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ল্যাপটপ উদ্ধারে সফল অভিযান পরিচালনা করায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিনকে নগদ টাকা পুরষ্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ পরিবারসহ পূর্ত বিভাগের কোয়ার্টারে থাকতেন। গত ২৯ জুলাই তিনি পরিবারসহ বাইরে যান। ফিরে এসে কোয়ার্টারে ল্যাপটপ না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। গতকাল সোমবার সন্দেহভাজন পূর্ত বিভাগের প্লাম্বার সহকারি ও প্রহরী রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রকৌশলী। এসময় তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় খবর দেয়া হয় থানা পুলিশে। পরে সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের আটক করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা ল্যাপটপ চুরির কথা স্বীকার করে। পুলিশ পূর্ত বিভাগের প্রহরী আলুকদিয়া রাজাপুররের রিপনের বাড়ির সাব-বাক্সের ভিতর থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করে। পরে আটকৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের প্লাম্বার সহকারি (পানির লাইনের মিস্ত্রী) কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মৎস্য অফিস এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং গণপূর্ত বিভাগের প্রহরী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া রাজাপুরের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রিপন (৩৮)। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত রিপন জানায়, গতকাল সোমবার দুপুরে ওই ল্যাপটপটি শহিদুল তার কাছে দিয়েছে।
এদিকে, ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় চোর আটক ও ল্যাপটপ উদ্ধারে সফল অভিযান পরিচালনা করায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদকে পুরষ্কারস্বরুপ নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় প্রকৌশলীর ল্যাপটপ চুরি : গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারি রিপনসহ আটক ২ : দ্রুত ল্যাপটপ উদ্ধার করায় এসআই খালিদকে পুরষ্কার দিলেন এসপির নিজাম উদ্দীন

আপলোড টাইম : ০৬:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির সাথে জড়িত থাকা ওই অফিসের দুই কর্মচারিকেও আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গণপূর্ত বিভাগের প্রহরী আলুকদিয়া রাজাপুরের রিপনের বাড়ি থেকে ওই ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার থেকে গত রোববার পর্যন্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তার পরিবারসহ বাইরে অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর কোয়ার্টার থেকে তার ল্যাপটপ চুরি হয়। পরে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ কোয়ার্টারে ফিরে ল্যাপটপ না পেয়ে অফিসের প্লাম্বার সহকারি ও প্রহরী রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের কথাবার্তা অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় খবর দেয়া হয় পুলিশে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিসের প্লাম্বার সহকারি ও রিপনকে আটক করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা ল্যাপটপ চুরির কথা স্বীকার করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলুকদিয়া রাজাপুরের রিপনের বাড়ি থেকে দ্রুত ল্যাপটপটি উদ্ধার করেন এসআই খালিদ।
এবিষয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ল্যাপটপ উদ্ধারে সফল অভিযান পরিচালনা করায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিনকে নগদ টাকা পুরষ্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ পরিবারসহ পূর্ত বিভাগের কোয়ার্টারে থাকতেন। গত ২৯ জুলাই তিনি পরিবারসহ বাইরে যান। ফিরে এসে কোয়ার্টারে ল্যাপটপ না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। গতকাল সোমবার সন্দেহভাজন পূর্ত বিভাগের প্লাম্বার সহকারি ও প্রহরী রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রকৌশলী। এসময় তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় খবর দেয়া হয় থানা পুলিশে। পরে সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্ট্যালিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের আটক করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা ল্যাপটপ চুরির কথা স্বীকার করে। পুলিশ পূর্ত বিভাগের প্রহরী আলুকদিয়া রাজাপুররের রিপনের বাড়ির সাব-বাক্সের ভিতর থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করে। পরে আটকৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো, চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের প্লাম্বার সহকারি (পানির লাইনের মিস্ত্রী) কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মৎস্য অফিস এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং গণপূর্ত বিভাগের প্রহরী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া রাজাপুরের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে রিপন (৩৮)। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত রিপন জানায়, গতকাল সোমবার দুপুরে ওই ল্যাপটপটি শহিদুল তার কাছে দিয়েছে।
এদিকে, ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় চোর আটক ও ল্যাপটপ উদ্ধারে সফল অভিযান পরিচালনা করায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদকে পুরষ্কারস্বরুপ নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।