ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা দৌলৎদিয়াড়ে মায়ের উপর অভিমানে ইঁদুরমারা বিষপান মেয়ের পরিবারের সদস্যদের হেয়ালীপনায় করুণ মৃত্যু স্কুলছাত্রী সোনালীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড়ের বাদলপাড়ায় মায়ের উপর অভিমান করে সোনালী খাতুন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সে ওই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছোট মেয়ে। সে ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, গত পরশু শুক্রবার সকালে বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্কুল না যাওয়া, পড়াশোনা ঠিকমত না করা এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মায়ের কাছে বকুনি খায় সোনালী। মায়ের উপর অভিমান করে ওইদিনই পরিবারের সকলের অজান্তে ঘরে থাকা ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরদিন শনিবার সকালে তাকে বাড়িতে নেওয়া হলে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনালীকে পূনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। এরপর তার লাশ নিয়ে শুরু হয় টানা পড়েন। একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে কোন ছাড়পত্র ছাড়াই দ্রুত অটোযোগে তার লাশ নেওয়া হয় দৌলৎদিয়াড় বাদলপাড়ার নিজ বাড়িতে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মায়ের উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রী সোনালী ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করার জন্য বলা হয়েছে।
সোনালীর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পড়াশোনায় মনযোগী না হওয়ায় সোনালীর মা তাকে বকাবকি করে। এজন্য অভিমান করে সে বিষ খায়।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, সোনালী তার পরিবারের সদস্যদের হেয়ালীপনার কারণে মারা গেছে। শুক্রবার সকালে সে যখন বিষ খায় তখনই তাকে হাসপাতালে না নিয়ে তালবাহানা করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত বিষ খাওয়া রোগীকে ৭২ঘন্টার মধ্যে কিছু খাওয়ানো নিষেধ থাকলেও বাড়িতে নিয়ে এসে তাকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। ফলে সে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আবরো হাসপাতালে নিলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের নিয়মনীতি ছাড়াই তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা বেআইনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা দৌলৎদিয়াড়ে মায়ের উপর অভিমানে ইঁদুরমারা বিষপান মেয়ের পরিবারের সদস্যদের হেয়ালীপনায় করুণ মৃত্যু স্কুলছাত্রী সোনালীর

আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড়ের বাদলপাড়ায় মায়ের উপর অভিমান করে সোনালী খাতুন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সে ওই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছোট মেয়ে। সে ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা যায়, গত পরশু শুক্রবার সকালে বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্কুল না যাওয়া, পড়াশোনা ঠিকমত না করা এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মায়ের কাছে বকুনি খায় সোনালী। মায়ের উপর অভিমান করে ওইদিনই পরিবারের সকলের অজান্তে ঘরে থাকা ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরদিন শনিবার সকালে তাকে বাড়িতে নেওয়া হলে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনালীকে পূনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। এরপর তার লাশ নিয়ে শুরু হয় টানা পড়েন। একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে কোন ছাড়পত্র ছাড়াই দ্রুত অটোযোগে তার লাশ নেওয়া হয় দৌলৎদিয়াড় বাদলপাড়ার নিজ বাড়িতে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মায়ের উপর অভিমান করে স্কুলছাত্রী সোনালী ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করার জন্য বলা হয়েছে।
সোনালীর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পড়াশোনায় মনযোগী না হওয়ায় সোনালীর মা তাকে বকাবকি করে। এজন্য অভিমান করে সে বিষ খায়।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, সোনালী তার পরিবারের সদস্যদের হেয়ালীপনার কারণে মারা গেছে। শুক্রবার সকালে সে যখন বিষ খায় তখনই তাকে হাসপাতালে না নিয়ে তালবাহানা করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত বিষ খাওয়া রোগীকে ৭২ঘন্টার মধ্যে কিছু খাওয়ানো নিষেধ থাকলেও বাড়িতে নিয়ে এসে তাকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। ফলে সে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আবরো হাসপাতালে নিলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের নিয়মনীতি ছাড়াই তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা বেআইনি।