থেমে থাকার একদিনের মাথায় ফের বৃষ্টি : চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকাগুলোতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী : অসহনীয় ভোগান্তিতে মানুষ
- আপলোড টাইম : ০৫:২৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭
- / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের পর গতকাল শনিবার আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার ছিল। সারাদিনে রোদের দেখাও মিলেছে। থেমে থাকার একদিন পরই শনিবার চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকায় আবারও বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। গতকাল শনিবার রাত ৯ টা ১৫মিনিট হতে চুয়াডাঙ্গা শহরে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত পোনে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে দমকা হওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরফলে শহরের বেশিরভাগ স্থলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিভিন্ন সড়ক। শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্ত্বর ও বড়বাজার এলাকার সড়কগুলো খানাখন্দ হওয়ায় হালকা বৃষ্টির কারণেও দুর্ভোগে পড়ে শহরবাসী।
আবহাওয়া অধিদফতরের বৃষ্টি পরিমাপক কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১.৫৯মিনিট পর্যন্ত ০.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। আকাশে মেঘ জমলেই ঝড়/বৃষ্টি আসুক আর না আসুক গ্রীড গুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন উধাও হলে ফিরে আসে না নির্দিষ্ট সময়ে। ফলে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ গ্রাহকদের। এছাড়াও সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। দিন রাতে একাধিক বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসায় অতিষ্ট তারাও। বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের উত্তর- কাজ চলছে, তার ছিড়ে গেছে, ইন্সুলেটরের সমস্যা, ওভারলোড, আন্ডারলোডসহ বিভিন্ন অজুহাত।
ব্যবসায়ীরা জানায়, বিদ্যুতের যাওয়া আসার খেলায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে, প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। কাষ্টমারের অর্ডার নিয়ে যথা সময়ে দিতে পারছিনা ফলে তাদের সাথে হচ্ছে বাকবিতন্ডা। নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপুর্ন মেশিন। অনেকে জানান, তাদের ফ্রিজ ও টিভি বিদ্যুৎ ভেলকিবাজির কারনে নষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি এ সমস্যা একটু কমলেও জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারনে তা আবারো বেড়েছে বিদ্যুৎ সমস্যা।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভেড়ামারা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে এ জেলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এ গ্রিডের একটি টাওয়ার বসে যাওয়ায় সম্পূর্ণ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খুলনা থেকে ৫০/৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। যেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য ৮০/৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে এখন মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সকল ফিডারে চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।