৭৮জন হজযাত্রী রেখে চলে গেল সৌদি বিমান! হজযাত্রীদের ক্ষোভ
- আপলোড টাইম : ০৫:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: মোট ৭৮ জন হজযাত্রীকে রেখে সৌদি এয়ারলাইনের নির্ধারিত দুটি ফ্লাইট চলে গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। ফলে হজযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোর উড্ডয়নের সময় ছিল সন্ধ্যা ছয়টা ও সোয়া সাতটায়।
মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা নামের এক হজযাত্রী বলেন, মিরপুরের মীর এজেন্সিকে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি হজে যাওয়ার জন্য। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তার হজে যাওয়ার কথা ছিল। “শুক্রবার বিকাল ৫টায় আমাদের ফ্লাইট ছিল। বিকাল সাড়ে ৪টায় আমাদের এয়ারপোর্টে আনা হয়। পরে জানতে পারি, প্রায় শতাধিক যাত্রীকে রেখেই বিমান চলে গেছে।” দিনাজপুর থেকে আসা তরিকুল ইসলামের বাবা আজাহার আলী ও মা আনোয়ারা বেগমেরও শুক্রবার বিকালে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারাও ফ্লাইট ধরতে পারেননি। তরিকুল জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌঁছে ওই এয়ারলাইন্সের কাউন্টার বন্ধ পান তারা।
কেন এমন ঘটনা ঘটল- এ প্রশ্নের জবাবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘এর কারণ আমরা জানি না। সৌদি এয়ারলাইনকে জিজ্ঞেস করুন। তবে রেখে যাওয়া যাত্রীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রাতে হজ ক্যাম্পে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।’
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ছয়টার ফ্লাইটের হজযাত্রীরা বিকেল চারটার মধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিমানের ভেতর লাগেজ বা ব্যাগপত্র পরিবহন করবেন কি নাÍএ নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা যত দূর জানতে পেরেছি, হজযাত্রীদের লাগেজ নিয়ে তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্তহীনতা ও সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটে। সৌদি এয়ারলাইনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছে, যদি এই হজযাত্রীরা জনপ্রতি ৩০০ ডলার করে জরিমানা দেন, তবে পরবর্তী সময়ে তাঁদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি বলেন, সমস্যার শুরুতে তাঁদের সঙ্গে হজযাত্রীরা যোগাযোগ করেননি। ফ্লাইট ছেড়ে দেওয়ার পর যোগাযোগ করেন। জিয়াউল হক বলেন, ‘সময়মতো জানতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’
এ ব্যাপারে সৌদি এয়ারলাইনের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার মো. শফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তাঁরা দেরি করে এসেছিলেন।’ জনপ্রতি ৩০০ ডলার জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি।