কৃষকের মুখে সোনালী হাসি মনে করিয়ে দেয় অতীত
- আপলোড টাইম : ০৫:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
- / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
জীবননগরে পাটের বাম্পার ফলন : পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষীরা
কৃষকের মুখে সোনালী হাসি মনে করিয়ে দেয় অতীত
জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকারী ফসল। পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় দেশ-বিদেশে রয়েছে এর ব্যপক চাহিদা ও সুনাম। এক সময় সোনালী আঁশ খ্যাত পাট প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে, বাড়িতে লক্ষ করা যেত। বাড়ির উঠানে বাঁশের আড়ায়, আবার কখনও কৃষকের ঘরে পাটে ভর্তি থাকতো। কৃষি বান্ধব সরকারের আদেশ ক্রমে পাট দিয়ে বস্তা, প্যাকেট, সুতাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ায় বাংলাদেশে আবারও পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। যার ফলে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে কৃষকরা আবারও পাট চাষের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষকদের পাটচাষে আগ্রহ দেখে, পাটের সোনালী অতীত সবাইকে নতুন করে স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে। এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস ধারণা করছে। এ বছর পাট গাছগুলো যেমন মোটা হয়েছে, তেমনি পুরু হয়েছে পাট গাছের আঁশ। আবহাওয়া অনুকুল, উপযুক্ত পরিবেশ আর সঠিক পরিচর্যার কারণে কৃষকরা তাদের পাট চাষে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীবননগর উপজেলায় যে সকল কৃষক পাটচাষ করেছেন, তাদের প্রত্যেকেরই ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে পাটচাষীরা তাদের উৎপাদিত পাট বিভিন্ন পুকুর, বিল, বাওড়, ডোবা, নালায় জাগ দিয়ে পঁচনশেষে আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেকে জোরেসোরে পাট ধৌতের কাজও শুরু করেছেন। এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা আঁটি প্রতি ১০/১২টাকা হারে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তাই কে কয়টি পাটের আটির আঁশ ছাড়িয়ে পরিস্কার করে আগেভাগে উঠতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা এখন দৃশ্যমান। জীবননগর বাজারের পাট ব্যবসায়ীগন এ বছর আগে থেকেই পাট ক্রয়ের জন্য প্রস্তুত আছেন তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এ বাপারে জীবননগর উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, এ বছর পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে আশাকরি পাটের দাম ভালো হবে। এবং পাট চাষীরা লাভবান হবেন।
উপজেলার বাঁকা গ্রামের পাট চাষী মোমিন, রাজন, শুকুর আলী, বৈদ্যনাথপুর গ্রামের জসিম, হাসাদহের গিয়াসউদ্দিন জানান, এ বছর চাষাবাদ করে একটু ঋণী হয়ে পড়েছি। তবে, পাটের উপযুক্ত দাম পেলে দেনা পরিশোধ করেও হাতেও কিছু নগদ টাকা থাকবে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর জীবননগর উপজেলায় ২১শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের চেহারা দেখে পাট চাষী ও ব্যবসায়ীরা আনন্দিত। এবার উৎপাদিত পাটের মান ও ফলন সন্তোষজনক। আর দাম পেলে কৃষকরা আগামিতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।