চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী লালন নিহত
- আপলোড টাইম : ০৫:২১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
- / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ায় ভেড়ামাড়া ও বারাদীতে পৃথক বন্দুকযুদ্ধ : কুষ্টিয়ার ডাকাত সোবহান নিহত ও
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী লালন নিহত
গাংনী অফিস: কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সোবহান আলী (৩৯) ও হাসানুজ্জামান লালন (৩৭) নামের দুই ডাকাত নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল, দেশীয় তৈরি পাইপগান, একটি শার্টারগান, ৩ রাউন্ডগুলি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত করাত ও রামদাসসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল নামক স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সন্ত্রাসী হাসানুজ্জামান লালন (৩৭) নিহত হয়েছেন। বন্ধুক যুদ্ধে পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১বিদেশী পিস্তল, দেশীয় তৈরী ১টি শার্টারগান, ১রাউন্ড গুলি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি করাত, ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত লালন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামের আলী হোসেন মালিথার ছেলে। গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার-ভেড়ামারা সড়কের দশমাইল নামক স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় লালন নিহত হয়।
ভেড়ামারা থানার ওসি খন্দকার নুর হোসেন জানান,কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা সড়কের দশমাইল নামক স্থানে এদিন ভোররাতে গাছ কেটে সড়কে বাস ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহলদল ওই স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। আতœরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও একজন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে ছিল। পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ডাকাত সদস্যের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামের আলী হোসেন মালিথার ছেলে। সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দির্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতো এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্তে ছিলো। লালনের নামে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানা, মেহেরপুরের গাংনী ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাসহ একাধিকা থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, বোমাবাজি, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে তার পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ সনাত্র করলে ময়না তদন্তশেষে তাদের হাতে মৃতদেহ তুলেদেওয়া হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যারাতে নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার নামাজের জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, আটক ডাকাত সোবহান আলীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক থানা পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়াদি গোরস্থান এলাকায় তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুুলিশ তাদের উপর পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে সোবহান আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটা বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও ৩ রাউন্ড গুলির খোসা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি হাসুয়া উদ্ধার করে। নিহত সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও কুমারখালী থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৮টি মামলা রয়েছে বলে ওসি নাসির উদ্দিন দাবি করেন।