আলমডাঙ্গা বেলগাছী ইউনিয়ণের গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোর বেহাল দশা : কয়েক যুগ পার হলেও হয়নি সংস্কার : উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ
- আপলোড টাইম : ০৫:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
- / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের প্রায় সবকটি সড়কের বেহাল দশা। ক্রমশই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। সংস্কারেও নেই কোনো অগ্রগতি। দুর্গতিই এখন গতি! খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে ‘মরণ ফাঁদে’। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে সড়ক সংস্কারের দাবিতে কয়েকযুগ ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিক দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাসেই তা থেমে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শহর থেকে ডামোশ, কাশিপুর, কেদারনগর, পুটিমারি, জোড়গাছা পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্ত কোথাও হাঁটু কাদা কোথাও উরু পর্যন্ত গভীর। দেখলে মনে হবে পুকুর। একটু পানি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে সড়ক অনুপযোগী হয়ে পড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায়ই এসব গর্তে যাত্রীবাহী গাড়ি দেবে যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এদিকে পিচ না থাকায় ব্যস্ততম এই রাস্তাগুলো শুষ্ক মৌসুমে পরিণত হয় ধুলোর রাজ্যে আর বর্ষার মৌসুমে পরিণত হয় কাদার ভাগাড়ে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসেও মারাত্মক কষ্ট হয়। উপজেলার সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিন এ রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করেন। রাস্তাগুলো করুণ দশার কারণে নির্ধারিত সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের। এ অবস্থায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তাটি দিয়ে কৃষি পণ্য চাষাবাদে ও পাকা ফসল ঘরে তোলার ঐ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার পাশের জমির মালিকগণ রাস্তা কেটে আবাদী জমিতে পরিণত করে নিচ্ছে। আমন, বোরো ধান, গম, ভুট্টা, কৃষি পণ্য বোঝাই গাড়িটি বাড়ি আসার সময় অপর গাড়িটি মাঠে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গাড়িটি ক্রসিং করতে হয়। কোন কোন সময় বোঝাই গাড়িটি কৃষি পণ্য মালামাল নিয়ে উল্টে যায়। রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে যানবাহন, ড্রাইভার, কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার হয়নি। ফলে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও রাস্তার দিকে কারো নজর নেই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, যে চেয়ারম্যান প্রায় ১ যুগ ধরে তাদের জিম্মি করে মিথ্যা আশ্বাস দেখিয়ে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কায়দায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হলে দলীয় ক্ষমতায় রাস্তার সকল প্রাকল্পের টাকা পকেটে ওঠে রাস্তায় ১ ঝুড়ি মাটিও পড়েনা। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন মহলের আশু দৃষ্টি কমনা করে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সংস্বকরণের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ১৫বছর দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮নং ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি রাস্তার ব্যাপারে জানতে পেরেছি। খুব শীঘ্রই রাস্তার নির্মাণ কাজ ও রোডে লাইটের কাজ শুরু করা হবে।