চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন সুপার মার্কেটের সোহাগ অপটিকস এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : এবার ভুঁয়া চক্ষু চিকিৎসক শামসুরকে ৬ মাসের কারাদন্ড : দোকান মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- আপলোড টাইম : ০৪:৫৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
- / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন সুপার মার্কেটের সোহাগ অপটিকস নাকম চশমার দোকানে অভিযান চালিয়ে একজন ভুঁয়া পদবী ব্যবহারকারী চিকিৎসককে আটক করে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালন। সাথে সাথে ওই দোকানের মালিক রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সোহাগ অপটিকস এ অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম ভুঁয়া পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে মেবিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২৯ ধারায় ভুঁয়া চক্ষু চিকিৎসক ডা. এম.ডি শামসুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় ভুঁয়া চিকিৎসককে দোকানের চেম্বারে বসিয়ে প্রতারণা কাজে সহায়তার দায়ে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫৩ ধারায় সোহাগ অপটিকস-এর মালিক রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জাফর ইকবাল রোগি সেজে ওই চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গেলে তার ভুঁয়া ডিগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফখরুল ইসলাম জানান, নূন্যতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেহ তাদের নামের পাশে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবে না। করলে তা হবে অপরাধ। এজন্য ভুঁয়া পদবী ব্যবহারকরে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করার দায়ে এম.ডি সামসুর রহমানকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ভূয়া চিকিৎসককে চেম্বার দেওয়ার অপরাধে অপটিক্স মালিক রবিউল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জাফর ইকবাল জানান, চক্ষু চিকিৎসক নামধারী এমডি শামসুর রহমানের ভুঁয়া ডিগ্রীর বিষয়টি প্রকাশ পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এতে ভুঁয়া চক্ষু চিকিৎসক ডা. এমডি শামসুর রহমানকে ৬ মাসের কারাদন্ড, দোকানী রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরে ভূয়া চিকিৎসককে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।