ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

মুুমিন জীবনের গ-ি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭
  • / ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: যারা মুসলমান হয়ে জš§গ্রহণ করেছেন তাদের বেশি পরিমাণে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। তাদের কেও আল্লাহর দরবারে মুসলমান হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য ইমান, ইলম ও আমলের চর্চা করতে হবে। যারা লেখাপড়া জানে না, তাদের কেও যেমন আয়-রোজগার করতে হয়, ঘর-সংসার করতে হয়, তেমনি মুসলমান হওয়ার জন্যও তাদের চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য সর্বপ্রথম তাদের ইসলাম সম্পর্কে বুনিয়াদি জ্ঞান হাসিল করতে হবে যাতে মুমিন ও মুসলমান হিসেবে আল্লাহর দরবারে গণ্য হওয়া যায়। তা না হলে আখেরাতে কী দশা হবে সে চেতনাও তারা হারিয়ে ফেলবে। ইমানের মূলবিষয়কে ইসলামী পরিভাষায় তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাত বলা হয়। মুসলমানদের জীবনের সব দিক এ তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। কালেমা তাইয়েবা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর প্রথম অংশ তাওহিদ এবং দ্বিতীয় অংশ রিসালাত। এ কালেমা বেহেশতে যাওয়ার কোনো মন্ত্র নয়। না বুঝে শুধু এ কালেমা উচ্চারণ করলেই বেহেশতে যাওয়া যাবে বলে মনে করা একেবারেই ভুল। যে ব্যক্তি এ কালেমা বুঝে-শুনে কবুল করে, সে আসলে তার জীবনের নীতি বা পলিসি ঘোষণা করে। প্রথম অংশ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ দ্বারা সে ঘোষণা করে, ‘আমি শুধু আল্লাহর হুকুমমতো সবকিছু করব এবং আল্লাহর হুকুমের বিরোধী আর কারো হুকুম মানব না।’ দ্বিতীয় অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলে সে ঘোষণা করে, ‘মুহাম্মদ (সা.) যেভাবে যে নিয়মে আল্লাহর হুকুম পালন করেছেন, আমি শুধু ওই নিয়মেই আল্লাহর হুকুম পালন করব। তার পথ ও মত ছাড়া আর কারো পথ ও মত আমি মানব না।’ মুমিনকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি সব দিকে যা কিছু করতে হয় তা সবই এ দুটো নীতি অনুযায়ীই করতে হবে। এছাড়া দুনিয়ায় যা কিছু করা হয় তার হিসাব আখেরাতের আদালতে দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা সব কাজের হিসাব নিয়ে পুরস্কার বা শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে পূর্ণ বিশ্বাস রেখেই মুমিনকে দুনিয়ার সবকিছু করতে হয়। এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত মুমিনের জীবনের আসল চালিকাশক্তি। মুমিনের জীবনে ধর্মীয় দিক অন্য সব দিক থেকে আলাদা নয়; জীবনের সব দিকই ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী চলবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মুুমিন জীবনের গ-ি

আপলোড টাইম : ০৫:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: যারা মুসলমান হয়ে জš§গ্রহণ করেছেন তাদের বেশি পরিমাণে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। তাদের কেও আল্লাহর দরবারে মুসলমান হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য ইমান, ইলম ও আমলের চর্চা করতে হবে। যারা লেখাপড়া জানে না, তাদের কেও যেমন আয়-রোজগার করতে হয়, ঘর-সংসার করতে হয়, তেমনি মুসলমান হওয়ার জন্যও তাদের চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য সর্বপ্রথম তাদের ইসলাম সম্পর্কে বুনিয়াদি জ্ঞান হাসিল করতে হবে যাতে মুমিন ও মুসলমান হিসেবে আল্লাহর দরবারে গণ্য হওয়া যায়। তা না হলে আখেরাতে কী দশা হবে সে চেতনাও তারা হারিয়ে ফেলবে। ইমানের মূলবিষয়কে ইসলামী পরিভাষায় তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাত বলা হয়। মুসলমানদের জীবনের সব দিক এ তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। কালেমা তাইয়েবা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর প্রথম অংশ তাওহিদ এবং দ্বিতীয় অংশ রিসালাত। এ কালেমা বেহেশতে যাওয়ার কোনো মন্ত্র নয়। না বুঝে শুধু এ কালেমা উচ্চারণ করলেই বেহেশতে যাওয়া যাবে বলে মনে করা একেবারেই ভুল। যে ব্যক্তি এ কালেমা বুঝে-শুনে কবুল করে, সে আসলে তার জীবনের নীতি বা পলিসি ঘোষণা করে। প্রথম অংশ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ দ্বারা সে ঘোষণা করে, ‘আমি শুধু আল্লাহর হুকুমমতো সবকিছু করব এবং আল্লাহর হুকুমের বিরোধী আর কারো হুকুম মানব না।’ দ্বিতীয় অংশ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলে সে ঘোষণা করে, ‘মুহাম্মদ (সা.) যেভাবে যে নিয়মে আল্লাহর হুকুম পালন করেছেন, আমি শুধু ওই নিয়মেই আল্লাহর হুকুম পালন করব। তার পথ ও মত ছাড়া আর কারো পথ ও মত আমি মানব না।’ মুমিনকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি সব দিকে যা কিছু করতে হয় তা সবই এ দুটো নীতি অনুযায়ীই করতে হবে। এছাড়া দুনিয়ায় যা কিছু করা হয় তার হিসাব আখেরাতের আদালতে দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা সব কাজের হিসাব নিয়ে পুরস্কার বা শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে পূর্ণ বিশ্বাস রেখেই মুমিনকে দুনিয়ার সবকিছু করতে হয়। এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত মুমিনের জীবনের আসল চালিকাশক্তি। মুমিনের জীবনে ধর্মীয় দিক অন্য সব দিক থেকে আলাদা নয়; জীবনের সব দিকই ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী চলবে।