ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

এইচএসসি’র ফলপ্রকাশ: সারাদেশে পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ : যশোর বোর্ডে ৭০.০২ : চুয়াডাঙ্গায় ৬২.৬২ শতাংশ : যশোর বোর্ডের ১০ জেলার ফলাফলে মেহেরপুর ২য় : ৬ষ্ঠ চুয়াডাঙ্গা : সারাদেশে জিপিএ-৫’র সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭২৬ : যশোর বোর্ডে ২ হাজার ৪৪৭ : চুয়াডাঙ্গায় ৯৭

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭
  • / ৬৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক নয় এক শতাংশ। গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমেছে পাঁচ দশমিক সাত নয়। সারাদেশে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। পাসের হারে এবারো ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা। প্রকাশের পর পরই খুদেবার্তা ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফলাফল সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা উল্লাসে ফেটে পড়ে। উৎকণ্ঠা ছিল। ভালো ফলাফলের প্রত্যাশাও ছিল। সব কিছু ছাপিয়ে ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস।
গতকাল রোববার সকাল থেকেই ফলাফল পেতে কলেজগুলোতে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। ফলাফল প্রকাশের পর ব্যক্তিগত সাফল্য রূপ নেয় সামষ্টিক অর্জনে। তাইতো সম্মেলিত আনন্দে মুখর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ। সকলের অভিব্যক্তিতেও ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের বর্ণিল প্রকাশ। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থী। পাসের হার আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার সংখ্যাও কমেছে ২০ হাজার ৫৫০ জন। বোর্ড ভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে সিলেট। ২য় রাজশাহী, ৩য় বরিশাল, ৪র্থ যশোর, ৫ম ঢাকা, ৬ষ্ঠ দিনাজপুর, ৭ম চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সর্বশেষ ৮ম স্থানে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার ১১টি কেন্দ্রে ২৪টি কলেজের ৬হাজার ৪৯৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশ করেছে ৪হাজার ৬৬জন। ফলাফলে চুয়াডাঙ্গা জেলার পাসের হার ৬২ দশমিক ছয় দুই শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭জন শিক্ষার্থী।
৯০ দশমিক দুই দুই শতাংশ পাসের হার নিয়ে জেলায় এগিয়ে বড় শলুয়া নিউ মডেল কলেজ। ১৮৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। ২য় বদরগঞ্জ কলেজ। ৩৬১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১০জন পাস। পাসের হার ৮৫ দশমিক আট আট শতাংশ। এ ছাড়া তেতুল শেখ কলেজের ৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৫ দশমিক তিন ছয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ৯৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭৯০জন। পাসের হার ৮০ দশমিক দুই আট শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ৫৮০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১জন জিপিএ-৫সহ ৩২৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৬ দশমিক তিন সাত শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজে এবার ব্যপক ফল বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গেছে। এ কলেজ থেকে ৪০০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২০২জন পাশ করেছে। কোন জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী নেই। পাসের হার ৫০ দশমিক শূণ্য পাঁচ।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৫৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৭ জন জিপিএ-৫সহ মোট ৯২৬ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৫৯ দশমিক সাত আট শতাংশ। এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এদের মধ্যে ৫ জন জিপিএ ৫সহ ৪১৮ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৬২ দশমিক নয় পাঁচ শতাংশ। আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৩ দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ। এস এস জোহা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ জন জিপিএ-৫সহ ১৩৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৪৬ দশমিক আট পাঁচ শতাংশ। নিগার সিদ্দিক কলেজ থেকে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ১০০ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৩ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। খাসকররা কলেজ থেকে ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ জন জিপিএ-৫সহ ৬৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৭ দশমিক সাত চার শতাংশ। জামজামি মহিলা কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬১ দশমিক এক এক শতাংশ। হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৬ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৭ দশমিক এক চার শতাংশ এবং ডাঃ আফছার উদ্দিন কলেজ থেকে ৬৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রণ করে ৪০ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮ দশমিক আট দুই শতাংশ।
অপরদিকে দর্শনা সরকারি কলেজ থেকে ৭৪৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৪৩৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৮ দশমিক তিন এক শতাংশ। দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়া ৩৭জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭৭ দশমিক শূণ্য আট শতাংশ। কার্পাসডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৬২জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়াই ১৯৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৩ দশমিক আট ছয় শতাংশ। দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে ৩৩৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৫১জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ ছাড়া পাসের হার ৪৪ দশমিক পাঁচ আট শতাংশ। বড়বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২০ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫০ শতাংশ।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার চারটি কলেজে এ বছর ব্যাপক ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ উপজেলা শীর্ষে। ১৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৭৫জন পাশ করেছে। জীবননগর ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪৩৩জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৩৭জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৪ দশমিক সাত তিন শতাংশ। জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১৫১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৫ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৩৭দশমিক আট চার শতাংশ এবং আন্দুলবাড়িয়া কলেজ থেকে ১৩৫জন অংশ নিয়ে ৬৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৪৮ দশমিক এক চার শতাংশ।
এ বছর আলিম পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা জেলার মাদ্রাসা বোর্ডের অনুকূলে মাদ্রাসা গুলোর ফলাফল আশানুরুপ। জেলায় শীর্ষে থাকা মাদ্রাসা ১জন জিপিএ-৫সহ হাসাদহ ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৬১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৬০জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯৮দশমিক তিন ছয় শতাংশ। জীবননগর আলিম মাদ্রাসা থেকে ৫১ জন অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়া ৫০ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯৮ দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯০ শতাংশ। আন্দুলবাড়িয়া আশরাফিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৯জন পরীক্ষা দিয়ে ১৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৯ দশমিক চার সাত শতাংশ। ওসমানপুর পরাগপুর ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ১৮জন অংশ নিয়ে ১৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৩ দশমিক তিন তিন শতাংশ। দর্শনা দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৫২জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮২ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৪৪জন অংশ নিয়ে ৩৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭৫ শতাংশ। এদিকে বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ কামিল মাদ্রাসা থেকে ৪৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৭জন পাশ করেছে। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৮ দশমিক সাত দুই শতাংশ। নওলামারি আলিম মাদ্রাসা থেকে ১১জন অংশ নিয়ে ৮জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭২ দশমিক সাত দুই শতাংশ। আলমডাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৬জন অংশ নিয়ে ২৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৬৩ দশমিক আট আট শতাংশ। কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৯জন অংশ নিয়ে মাত্র ১০জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫২ দশমিক ছয় তিন শতাংশ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার ১৯ টি কলেজ থেকে মোট ৩ হাজার ৭০১ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২ হাজার ৫৩১ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩১ জন। পাশের শতকরা হার ৬৮ দশমিক ৩৯ ভাগ। জেলা সদরের মোট ৫টি কলেজ থেকে এক হাজার ৯২৩ জন অংশ নিয়ে এক হাজার ২১৩ জন পাশ করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১ জন। গাংনী উপজেলার ১২ টি কলেজ থেকে এক হাজার ২৬৯ জন অংশ গ্রহন করে ৯৭৬ জন পাশ করেছে। অন্যদিকে মুজিবনগর উপজেলার ২টি কলেজ থেকে ৫০৯ জন অংশ নিয়ে ৩৪২ জন পাশ করেছে।
এদিকে গাংনী উপজেলার মড়কা জাগরণী কলেজের কোন পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। ওই কলেজ থেকে এবছর মাত্র ৩ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে।
৮ বোর্ডে ফলাফলে শীর্ষে সিলেট। পাসের হার ৭২.০০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০০ জন। এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ধস নেমেছে। গেলো বছর যেখানে ১ হাজার ৩৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবার তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে ৭২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে আট শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিলেট বোর্ড।
২য় স্থানে থাকা রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭১ তিন শূণ্য শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৯৪ জন। এ শিক্ষা বোর্ডে এবার কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
৮ বোর্ডে ৩য় স্থানে বরিশাল। পাসের হার ৭০ দশমিক দুই আট শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১৫ জন। আগের বছরগুলোর মতো এবারও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সবক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬০ হাজার ৪৮৬ জন। তার মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ৩১ হাজার ৩৩৯ জন। পাস করেছে ২১ হাজার ১১১ জন।
৪র্থ স্থানে থেকে আশানুরুপ ফল অর্জন করেছে যশোর বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪৪৭ জন। যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে খুলনা জেলা, দ্বিতীয় স্থানে মেহেরপুর, তৃতীয় স্থানে সাতক্ষীরা, চতুর্থ স্থানে ঝিনাইদহ, পঞ্চম স্থানে কুষ্টিয়া, ষষ্ঠ স্থানে চুয়াডাঙ্গা, সপ্তম স্থানে যশোর, অষ্টম স্থানে বাগেরহাট, নবম স্থানে নড়াইল এবং সর্বশেষ দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা জেলা।
ঢাকা বোর্ডের পাসের হার ৬৯ দশমিক সাত চার শতাংশ। আট শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী এবার ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৯৩০ জন।
এ ছাড়াও দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৫ দশমিক চার চার শতাংশ, জিপিএ ৫-পেয়েছে ২হাজার ৯৮৭ জন। এ শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে এবং জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬১০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুর।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬১ দশমিক শূণ্য নয় শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন। গেলোবারের চেয়ে এ বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ।
কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৪৯ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭৮ জন। এ বোর্ডের পাশের হার গেলোবারের তুলনায় প্রায় কমেছে ১৫ শতাংশ। কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক দুই শূণ্য শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১হাজার ৮১৫জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক তিন তিন শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২হাজার ৬৬৯ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

এইচএসসি’র ফলপ্রকাশ: সারাদেশে পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ : যশোর বোর্ডে ৭০.০২ : চুয়াডাঙ্গায় ৬২.৬২ শতাংশ : যশোর বোর্ডের ১০ জেলার ফলাফলে মেহেরপুর ২য় : ৬ষ্ঠ চুয়াডাঙ্গা : সারাদেশে জিপিএ-৫’র সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭২৬ : যশোর বোর্ডে ২ হাজার ৪৪৭ : চুয়াডাঙ্গায় ৯৭

আপলোড টাইম : ০৪:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক নয় এক শতাংশ। গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমেছে পাঁচ দশমিক সাত নয়। সারাদেশে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। পাসের হারে এবারো ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা। প্রকাশের পর পরই খুদেবার্তা ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফলাফল সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা উল্লাসে ফেটে পড়ে। উৎকণ্ঠা ছিল। ভালো ফলাফলের প্রত্যাশাও ছিল। সব কিছু ছাপিয়ে ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস।
গতকাল রোববার সকাল থেকেই ফলাফল পেতে কলেজগুলোতে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। ফলাফল প্রকাশের পর ব্যক্তিগত সাফল্য রূপ নেয় সামষ্টিক অর্জনে। তাইতো সম্মেলিত আনন্দে মুখর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ। সকলের অভিব্যক্তিতেও ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের বর্ণিল প্রকাশ। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থী। পাসের হার আগের বছরের তুলনায় কমেছে। জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার সংখ্যাও কমেছে ২০ হাজার ৫৫০ জন। বোর্ড ভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে সিলেট। ২য় রাজশাহী, ৩য় বরিশাল, ৪র্থ যশোর, ৫ম ঢাকা, ৬ষ্ঠ দিনাজপুর, ৭ম চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সর্বশেষ ৮ম স্থানে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার ১১টি কেন্দ্রে ২৪টি কলেজের ৬হাজার ৪৯৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশ করেছে ৪হাজার ৬৬জন। ফলাফলে চুয়াডাঙ্গা জেলার পাসের হার ৬২ দশমিক ছয় দুই শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭জন শিক্ষার্থী।
৯০ দশমিক দুই দুই শতাংশ পাসের হার নিয়ে জেলায় এগিয়ে বড় শলুয়া নিউ মডেল কলেজ। ১৮৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। ২য় বদরগঞ্জ কলেজ। ৩৬১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১০জন পাস। পাসের হার ৮৫ দশমিক আট আট শতাংশ। এ ছাড়া তেতুল শেখ কলেজের ৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৫ দশমিক তিন ছয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ৯৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭৯০জন। পাসের হার ৮০ দশমিক দুই আট শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ৫৮০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১জন জিপিএ-৫সহ ৩২৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৬ দশমিক তিন সাত শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজে এবার ব্যপক ফল বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গেছে। এ কলেজ থেকে ৪০০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২০২জন পাশ করেছে। কোন জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী নেই। পাসের হার ৫০ দশমিক শূণ্য পাঁচ।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৫৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৭ জন জিপিএ-৫সহ মোট ৯২৬ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৫৯ দশমিক সাত আট শতাংশ। এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এদের মধ্যে ৫ জন জিপিএ ৫সহ ৪১৮ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৬২ দশমিক নয় পাঁচ শতাংশ। আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৩ দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ। এস এস জোহা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ জন জিপিএ-৫সহ ১৩৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৪৬ দশমিক আট পাঁচ শতাংশ। নিগার সিদ্দিক কলেজ থেকে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ১০০ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৩ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। খাসকররা কলেজ থেকে ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ জন জিপিএ-৫সহ ৬৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৭ দশমিক সাত চার শতাংশ। জামজামি মহিলা কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬১ দশমিক এক এক শতাংশ। হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৬ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৭ দশমিক এক চার শতাংশ এবং ডাঃ আফছার উদ্দিন কলেজ থেকে ৬৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রণ করে ৪০ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮ দশমিক আট দুই শতাংশ।
অপরদিকে দর্শনা সরকারি কলেজ থেকে ৭৪৬জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৪৩৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৮ দশমিক তিন এক শতাংশ। দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়া ৩৭জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭৭ দশমিক শূণ্য আট শতাংশ। কার্পাসডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৬২জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়াই ১৯৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৩ দশমিক আট ছয় শতাংশ। দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে ৩৩৯জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৫১জন পাশ করেছে। জিপিএ-৫ ছাড়া পাসের হার ৪৪ দশমিক পাঁচ আট শতাংশ। বড়বলদিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২০ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫০ শতাংশ।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার চারটি কলেজে এ বছর ব্যাপক ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ উপজেলা শীর্ষে। ১৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৭৫জন পাশ করেছে। জীবননগর ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪৩৩জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৩৭জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫৪ দশমিক সাত তিন শতাংশ। জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১৫১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৫ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৩৭দশমিক আট চার শতাংশ এবং আন্দুলবাড়িয়া কলেজ থেকে ১৩৫জন অংশ নিয়ে ৬৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৪৮ দশমিক এক চার শতাংশ।
এ বছর আলিম পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা জেলার মাদ্রাসা বোর্ডের অনুকূলে মাদ্রাসা গুলোর ফলাফল আশানুরুপ। জেলায় শীর্ষে থাকা মাদ্রাসা ১জন জিপিএ-৫সহ হাসাদহ ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৬১জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৬০জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯৮দশমিক তিন ছয় শতাংশ। জীবননগর আলিম মাদ্রাসা থেকে ৫১ জন অংশ নিয়ে কোন জিপিএ-৫ ছাড়া ৫০ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯৮ দশমিক শূণ্য তিন শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৯০ শতাংশ। আন্দুলবাড়িয়া আশরাফিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৯জন পরীক্ষা দিয়ে ১৭ জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৯ দশমিক চার সাত শতাংশ। ওসমানপুর পরাগপুর ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ১৮জন অংশ নিয়ে ১৫জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮৩ দশমিক তিন তিন শতাংশ। দর্শনা দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৫২জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৮২ দশমিক ছয় নয় শতাংশ। কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৪৪জন অংশ নিয়ে ৩৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭৫ শতাংশ। এদিকে বদরগঞ্জ বাকী বিল্লাহ কামিল মাদ্রাসা থেকে ৪৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৭জন পাশ করেছে। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৮ দশমিক সাত দুই শতাংশ। নওলামারি আলিম মাদ্রাসা থেকে ১১জন অংশ নিয়ে ৮জন পাশ করেছে। পাসের হার ৭২ দশমিক সাত দুই শতাংশ। আলমডাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৬জন অংশ নিয়ে ২৩জন পাশ করেছে। পাসের হার ৬৩ দশমিক আট আট শতাংশ। কাবিলনগর নসরুল উলুম আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৯জন অংশ নিয়ে মাত্র ১০জন পাশ করেছে। পাসের হার ৫২ দশমিক ছয় তিন শতাংশ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার ১৯ টি কলেজ থেকে মোট ৩ হাজার ৭০১ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২ হাজার ৫৩১ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩১ জন। পাশের শতকরা হার ৬৮ দশমিক ৩৯ ভাগ। জেলা সদরের মোট ৫টি কলেজ থেকে এক হাজার ৯২৩ জন অংশ নিয়ে এক হাজার ২১৩ জন পাশ করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১ জন। গাংনী উপজেলার ১২ টি কলেজ থেকে এক হাজার ২৬৯ জন অংশ গ্রহন করে ৯৭৬ জন পাশ করেছে। অন্যদিকে মুজিবনগর উপজেলার ২টি কলেজ থেকে ৫০৯ জন অংশ নিয়ে ৩৪২ জন পাশ করেছে।
এদিকে গাংনী উপজেলার মড়কা জাগরণী কলেজের কোন পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। ওই কলেজ থেকে এবছর মাত্র ৩ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে।
৮ বোর্ডে ফলাফলে শীর্ষে সিলেট। পাসের হার ৭২.০০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০০ জন। এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ধস নেমেছে। গেলো বছর যেখানে ১ হাজার ৩৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবার তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে ৭২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে আট শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিলেট বোর্ড।
২য় স্থানে থাকা রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭১ তিন শূণ্য শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৯৪ জন। এ শিক্ষা বোর্ডে এবার কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
৮ বোর্ডে ৩য় স্থানে বরিশাল। পাসের হার ৭০ দশমিক দুই আট শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১৫ জন। আগের বছরগুলোর মতো এবারও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সবক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬০ হাজার ৪৮৬ জন। তার মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ৩১ হাজার ৩৩৯ জন। পাস করেছে ২১ হাজার ১১১ জন।
৪র্থ স্থানে থেকে আশানুরুপ ফল অর্জন করেছে যশোর বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক শূণ্য দুই শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪৪৭ জন। যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে খুলনা জেলা, দ্বিতীয় স্থানে মেহেরপুর, তৃতীয় স্থানে সাতক্ষীরা, চতুর্থ স্থানে ঝিনাইদহ, পঞ্চম স্থানে কুষ্টিয়া, ষষ্ঠ স্থানে চুয়াডাঙ্গা, সপ্তম স্থানে যশোর, অষ্টম স্থানে বাগেরহাট, নবম স্থানে নড়াইল এবং সর্বশেষ দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা জেলা।
ঢাকা বোর্ডের পাসের হার ৬৯ দশমিক সাত চার শতাংশ। আট শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী এবার ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৯৩০ জন।
এ ছাড়াও দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৫ দশমিক চার চার শতাংশ, জিপিএ ৫-পেয়েছে ২হাজার ৯৮৭ জন। এ শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে এবং জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬১০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুর।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬১ দশমিক শূণ্য নয় শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন। গেলোবারের চেয়ে এ বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ।
কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৪৯ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭৮ জন। এ বোর্ডের পাশের হার গেলোবারের তুলনায় প্রায় কমেছে ১৫ শতাংশ। কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক দুই শূণ্য শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১হাজার ৮১৫জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক তিন তিন শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২হাজার ৬৬৯ জন।