টানা বর্ষণে প্লাবিত তিতুদহ-কুতুবপুরের হাজার হাজার বিঘা ফসল : পানিতে ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ধান ও সবজি চাষিরা : চিত্রা নদী খননের দাবি
- আপলোড টাইম : ০৫:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
আকিমুল ইসলাম: দুই দিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ও কুতুবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বেশকয়েকটি গ্রামের ফসলি মাঠের হাজার হাজার বিঘা আমন ধান তলিয়ে গেছে পানিতে। এছাড়া, টানা বর্ষণে পানি জমে বিনষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেতের শাকসবজি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চিত্রা নদীর বেহালদশার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত সময়ে নদীতে প্রবাহিত না হওয়ার কারণে ফসলি জমিতেই বেঁধে থাকছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে রোপা আমন রোপনকৃত ফসলের চারাসহ বীজতলার মালিকেরা। একইসাথে শাকসবজি চাষীরাও পড়েছে বিপাকে। এই এলাকার ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রোধ করতে চিত্রা নদী খননের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
টানা দুদিনের বর্ষণে গতকাল পর্যন্ত তিতুদহের খাড়াগোদা, জামালপুর, কালুপোল, খেজুরতলা, কুতুবপুর ইউনিয়নের সরোজগঞ্জ, নবীননগর, ভুলটিয়া এবং ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর, বংকিরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কৃষকদের আনুমানিক পাঁচ হাজার বিঘা ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে হাজার হাজার বিঘা আমন ফসলসহ সবজি ও মসলার ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। ফলে ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওইসব এলাকার কৃষকরা। এছাড়া ছুতনায় পাকা ধান কেটে গোলায় তুলতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বর্গাচাষিরা। অন্যদিকে, শাকসবজি, কাঁচা মরিচ, বেগুন, বরবটি, শসা, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, করলা, লাল শাক, ঢেঙ্গা, লাউসহ বিভিন্ন সবজি ফসল নষ্ট হচ্ছে।
ফসলি মাঠের পানি প্রবাহিত হওয়ার একমাত্র খাল খুবই ছোট হওয়ায় প্রায় সময় বর্ষায় পানি ফসলি ক্ষেতে জমে থাকে। ওই পানি প্রবাহিত বা শুকাতে লাগে এক মাসেরও অধিক সময়। ফলে মাঠে চাষকৃত সকল প্রকার ফসল পঁচে নষ্ট হয়ে যায় এবং নদীর গভিরতা হারানোর কারনে পানি প্রবাহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার নদীর উপকারিতা আসেনা চাষের কাজে। চিত্রা নদী খনন করে এ অঞ্চলের অন্তত ১৫টি গ্রামের চাষের জমি পানিতে ডুবে যাওয়া রোধের দাবি জানিয়েছে কৃষকরা।