চুয়াডাঙ্গা জেলার ইটভাটা মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক : পরিবেশ বাঁচাতে জিগজ্যাগ ইটভাটা তৈরী পরিকল্পনা করুন
- আপলোড টাইম : ০৫:৪৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
- / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ বাঁচাতে জিগজ্যাগ ইটভাটা তৈরীর পরিকল্পনা করুন। এ ধরণের ইটভাটা অনেকটা পরিবেশ বান্ধব। ইটভাটার চিমনি কমপক্ষে ৮০ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন হতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ইটভাটা মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ইটভাটার মাটি ট্রাক্টর যোগে পরিবহণের সময় রাস্তায় পড়ে বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়ে দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই মাটি ভর্তি ট্রাক্টর রাস্তায় তোলার আগে চাকা ধুয়ে নিতে হবে। সাথে সাথে আজকের পর থেকে রাস্তার পাশে আর স্তুপ করে মাটি রাখা যাবে না। বৃষ্টির পানিতে ওই মাটি ধুয়ে রাস্তার উপর এসে কাদা-মাটিতে পরিণত হয়।
মাটি ও বালি উত্তোলনকারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জমির উপরিভাগ নষ্ট হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। আপনারা জমির উপরের মালিক, শুধু জমির উপরিভাগ ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু মাটির নিচের খনিজ সম্পদের মালিক আপনি নন, আপনি তুলতেও পারেন না। মাটি, বালি ও পুকুর কাটতে সরকারি অনুমতি লাগবে। অনুমতি ব্যতীত এ কাজ করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইটভাটা মালিকরা ব্যবসা সহায়ক নয় এমন ভ্যাট আইন, ইট তৈরীর প্রধান কাঁচামাল মাটির পর্যাপ্ত যোগান ও জ্বালানী সমস্যা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাটির পর্যাপ্ত যোগান পেতে পরিকল্পিত ভাবে মাটি কাটতে হবে। শিঘ্রই সরকারি ভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলার দু’টি বৃহৎ নদী মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব খনন করা হবে। সেখান থেকে আপনারা মাটির যোগান পাবেন। পরবর্তীতে এরুপ খাল-বিল, নদী-নালা, হাওড়-বাওড় খনন করে মাটি সংরক্ষণ করা যেতে পারে। শিঘ্রই সকলের সহযোগিতায় চিত্রা নদী সেচ্ছাশ্রমে খনন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব, জেলা জিক জাক ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লাবলুসহ অর্ধশতাধিক ইটভাটা মালিকগণ।